নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নন্দপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিচু এলাকায় আবাদ করা দেশি ও ব্রি-৭৪ জাতের ধান বিক্ষিপ্তভাবে কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। মাঠ জুড়ে আধাপাকা ধানের সমাহার।
জমির পাশে ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য কৃষান-কিষানিরা ব্যস্ত খোলা তৈরির কাজে। নন্দপাপাড়া গ্রামের কৃষক এজবার হোসেন বলেন, ‘এ বছর বোরো ধানের ফলন ভাল হইছে। আজ থেকে কেউ কেউ কাটা শুরু করছে। পুরাদমে কাটা শুরু করতে আরো চার-পাঁচ দিন লাগবে। করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সঙ্কট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে আগামি এক মাসের মধ্যে উপজেলার সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব বলে মনে করে উপজেলা কৃষি অফিস। তারা উপজেলায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে।
নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকরা যাতে বোরো ধান নিরাপদ ও নির্বিঘে ঘরে তুলতে পারেন সেলক্ষে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনকে কৃষি শ্রমিকদের তালিকা সরবরাহ, অসুস্থ হলে চিকিৎসককে জানানো, কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান বন্ধের আওতামুক্ত, বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আনা ইত্যাদি।
নমুনা শস্য কর্তন পরিদর্শন করে নাগরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব ইমরান হোসাইন বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পাশাপাশি এ মূহুর্তে উপজেলার বোরো ধান নিরাপদে ঘরে তুলে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এ লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, এবছর উপজেলায় ১৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে,যা গত বারের চেয়েও বেশি। ফলন আশা করা যাচ্ছে ৬.৫ টন /হেক্টর। আগামীতে এর আবাদ আরোও বৃদ্ধি করতে যাবতীয় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি, বোরো আবাদ কৃষকের মুখে হাসি নিয়ে আসবে।
You cannot copy content of this page