নিজস্ব প্রতিনিধি : মোহনপুর উপজেলার রতনডাঙ্গা গ্রামে প্রাণনাশের চেষ্টা, শ্রীলতাহানির চেষ্টা ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে রায়ঘাটি ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য, সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দীন ১৩ জনকে আসামী করে এজাহারটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলো, রতনডাঙ্গা গ্রামের ওয়াহেদ আলী (ওহাদ), জুয়েল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহিরুল ইসলাম, বেলাল হােসেন, আনােয়ার হােসেন, আজিদুল হােসেন, শামসুল আলম, রহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আফজাল হােসেন, আফছার আলী, লাল মিয়া।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আয়েন উদ্দিন ও তার ভাগিনা মজিবর রহমান এলাকার মােনারুল ইসলাম এর চায়ের স্টলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকর্মের আলাপ আলােচনা করার সময় আসামী তাদের কথা শুনতে পেয়ে প্রতিহিংসায় তাকে ও তার ভাগিনা মজিবর রহমান কে নানা অন্যায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে ১ নং আসামী ওহাদের হুকুমে সকল আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারমুখি আচরণ করে। এক পর্যায়ে ১নং আসামীর হুকুমে ৮নং আসামী শামসুল আলমের হাতে থাকা লােহার রড দিয়ে আয়েন উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় স্বজরে আঘাত করলে তিনি গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন। ২নং আসামী জুয়েল তাকে ধারালাে হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে তিনি বাম হাত দিয়ে আটকানাের চেষ্টা করিলে উক্ত আঘাতে তার বাম হাতের কেনি আঙ্গুল ভাঙ্গা কাটাসহ গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। ৫ নং আসামী বেলাল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে দিয়ে স্বজরে গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাস রােধ করে। ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী পরিবানু বেগম আগাইয়া আসিলে ১০ নং আসামী শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করিয়া
শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এসময় তারা ডাক চিৎকার করায় উপরােক্ত সকল আসামীরা হাতে লাঠি সােঠা লইয়া এলােপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছেলা ফোলা বেদনা দায়ক জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লােকজন আগাইয়া আসিয়া সকল আসামীদের কবল হইতে প্রাণে রক্ষা করিলে সকল আসামীরা তাদের পরিবারের লােকজনদেরও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে উক্ত ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। আশপাশের লােকজন তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামীরা তাদের চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাহির হইতে দিবে না বলে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বড়িঘর ভাংচুর করে।
পরে মােহনপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্যে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে ফিরে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থানায় তিনি এ এজাহার দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আয়েন উদ্দিন বলেন, আমি সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি তা এলাকার জামাত-শিবির পন্থি লোকজনরা সহ্য করতে পারেনা। তাই তারা নানান কৌশলে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এবার তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করতে এ হামলা চালিয়েছে। আমি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এলাকাবাসিরা বলেন, আয়েন উদ্দিন সর্বদা সরকারে পক্ষে কথা বলেন ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে থাকেন। তাই কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালাই। এমন ঘটনা এলাকায় তারা প্রায় ঘটিয়ে আতম্ক সৃষ্টি করে শান্তি নষ্ট করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই, এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিরাজ করে এমনটা চাই।
এব্যাপারে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে, সকালে এজাহারের সকল আসামী আত্মসমর্পনের জন্যে থানায় আসিলে তাদের গ্রেপ্তার করে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page