নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী নগরীতে রাতের আধাঁরে এই বৈশ্বিক করোনা মহামারিতেও চলছে পুকুর ভরাট।
শাহমুখদুম থানাধীন বড়বনগ্রাম চকপাড়ায় এই পুকুর ভরাট চলছে।চারজন পুকুর খেকো মিলে এই পুকুরটি ভরাট করছেন। পুকুর ভরাটে জড়িতরা হলেন জমি বেচাকেনা করা ব্যবসায়ী মোস্তফা, আলম, শফিকুর ও সেলিম। তবে বসতি এলাকায় প্রায় ৪০ বছরের ২ বিঘা জায়গার এই পুকুটি ভরাট করলেও অলৌকিকভাবে তারা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে আছেন। পুকুরটি ভরাট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
দু'বিঘার এই পুকুরটি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত এলাকায় পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকা রাখছে। সম্প্রতি এই পুকুরটি ভরাটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুকুর খেকোরা।যখন সরকারী অফিস আদালত বন্ধসহ সারাদেশে চলছে লকডাউন, ঠিক তখনই সুযোগ সন্ধানীরা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে পুকুর ভরাট করছেন। রাতের আধাঁরেই ইতোমধ্যে পুকুরটির এক তৃতীয় ভরাট করা হয়েছে।
পুকুর খননকারি মোস্তফা বলেন আমি অসুস্থ, বাসায় রেস্টে আছি, সেলিম ও শফিকুরের সাথে কথা বলুন।এদিকে শফিকুরকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই, এটা আলম, সেলিম ও মোস্তফা করছে। আলম ও সেলিমকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বললে রাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ভিতর সরকারী পুকুর হলে আমাদের করণীয় ছিল। কিন্তু এটি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ।
কথা বলতে বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবুল হায়াতকে বারংবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এরপর কথা বলতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মাহামুদাকে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে, শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, তবে ঘটনা সত্যি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে কথা বলতে ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহুকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। পুকুর ভরাটকারীদের সাথে কথা বলেন।
You cannot copy content of this page