নড়াইলের কালিয়া এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী এবং তাদের সমর্থকেরা শনিবার (২২ মে) দুপুরে এ ঘোষণা দেন।
কালিয়া পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক স ম ওমর ফারুক,যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ সিহাব উদ্দিন,গোলাম কিবরিয়া মিঠু, সেলিম রেজা ইউসুফ, আমস্ট্রাং সরদার, জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ ২৫ জন নেতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কালিয়া উপজেলা ও পৌরসহ সাতটি শাখার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত এই কমিটিতে-কালিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সরদার আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু কালিয়া পৌর কমিটির আহ্বায়ক শেখ সেলিম হোসেন ও সদস্য সচিব শেখ মনিরুজ্জামান মনার নাম ঘোষিত হয়েছে।
এদিকে পদবঞ্চিত নেতারা জানান, এই কমিটি গঠনের ব্যাপারে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অবগত নন। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবৈধ ভাবে নিজস্ব বলয় তৈরির জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তাদের পকেটের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। পৌর বিএনপির মনোনীত আহবায়ক শেখ সেলিম হোসেন ঢাকায় অবস্থিত বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের মেডিকেল সেন্টারে চাকুরি করেন। এছাড়া সদস্য সচিব শেখ মনিরুজ্জামান মনা ইতোপূর্বে বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলেন।
অপরদিকে, কালিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলুর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ করেন পদবঞ্চিত নেতারা। এই কমিটি বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি ঘোষণার দাবি তাদের। এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কালিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ সেলিম হোসেন আমার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন না। এছাড়া সদস্য সচিব শেখ মনিরুজ্জামান মনা দলের পরীক্ষিত নেতা। যারা এই কমিটি নিয়ে কথা বলছেন, তারা আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলেন। কালিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলুর বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।#
Leave a Reply