নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর মামুদনগর ইউনিয়নের মেঘনা ব্লকের বনগ্রাম গ্রামে বোরো ধানের শস্য কর্তণ করা হয়েছে। বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর।
রোববার (২৩ মে) বোরো নমুনা ফসল কর্তণে অংশগ্রহণ করেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সিফাত ই জাহান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আজ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত ব্রি ধান ২৯ জাতের প্রদর্শণীর নমুনা শস্য কর্তন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,নাগরপুর,টাঙ্গাইল । উল্লেখ্য যে এই প্রদর্শণী ভুক্ত চাষী এই জমি হতে যে পরিমাণ ধান পাবে তার পুরোটাই বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করবে আগামী বছবের জন্য এবং তিনি সরকার কর্তৃক প্রদও লাইসেন্স ধারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা যিনি নিজের উৎপাদিত বীজ বিক্রি করবেন। ১৫ জনের গ্রুপে এই খুশি মোহন লিডিং কৃষক। ১৫ জন কর্তৃক উৎপাদিত বীজও খুশি মোহনে মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। গ্রুপের নাম বনগ্রাম এসএমই ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদনকারী গ্রুপ।
এ বছর বোরো ধানের উপযোগী আবহাওয়া থাকার ফলে বোরো আবাদে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। পরিমাপ করে দেখা গেছে এই প্রদর্শণীতে এই জাতের ধানের ফলন হয়েছে ৬.৫ মে.টন/ হেক্টর।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত ই জাহান বলেন, করোনা মহামারি কালে গত বারের মত এবারও যাতে নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা সময় মতো ফসল কেটে ঘরে তোলতে পারে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের পাশে থাকবে।কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেদিকে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তদারকি করবে।
এ সময় আরো উপস্থিতি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবীর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস, নাগরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন,উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।
You cannot copy content of this page