পাঁচ ঘন্টার ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করলেন ঘাটাইলের উইজডম ভ্যালী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও সাংবাদিক মো. কামাল হোসেনের পিতা-মাতা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে মাতা সুফিয়া বেগম (৭৫) ও রাতে পিতা সোহরাব আকন্দ (৮৫) ইহলোক ত্যাগ করেন। তারা দুজনেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা (আইসিইউ) নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কামাল হোসেন জানান, গত ২৮ মে হঠাৎ তার বাবা-মা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। প্রথমে তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে পরে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাকালীন সময়ে তাদের দুজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার তাদের অবস্থা অবনতি হতে থাকে। বিকেল পাঁচটার দিকে মাতা সুফিয়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন। পরে রাত দশটার দিকে পিতা সোহরাব আকন্দও ইহলোক ত্যাগ করেন।
শুক্রবার (০৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় ঘাটাইলের লোকেরপাড়া ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামের স্কুল মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদেরকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শিক্ষানুরাগী দম্পতি পরিবারে চার কন্যা ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন ও শোভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তাদের মৃত্যুতে সাংবাদিক ও শিক্ষক মহল থেকে পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
সোহরাব ও সুফিয়া দম্পতির তিন ছেলে ও চার মেয়ে সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। বড় ছেলে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ছিলেন। বর্তমানে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। দ্বিতীয় ছেলে মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেছেন। পরে তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ও সেখানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তৃতীয় ছেলে তারিক মুহাম্মদ বাবু শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ায় চাকুরিরত।
কন্যাদের মধ্যে প্রথমজন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা খাতুন। দ্বিতীয়জন ঘাটাইল জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এলিনা পারভীন। অপর দুই বোন নুপুর সরকারী চাকুরীজীবী এবং আছমা উচ্চ শিক্ষিত ও গৃহীনী।
You cannot copy content of this page