নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শেখ হাসিনার মুক্তি নতুন একটা নবযাত্রা সৃষ্টি করেছে, কারণ ১/১১ সরকার তখন একটা ধাপ্পাবাজির মধ্যে চলছিল। আমাদেরকে চার মাসের কথা বলে লম্বা সময় ধরে আমাদের কাঁধে চেপে বসেছিল। শেখ হাসিনার মুক্তির পর নবযাত্রার মাধ্যমে এই যে অর্থনৈতিকসহ মানবিকতার যে সমৃদ্ধি হচ্ছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন মুক্তি পেয়েছিল সেদিন স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির মুক্তি হয়েছিল, গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছিল। সেসময় তারা আমার নেত্রীকে আটকে রেখে গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তখন বেগম জিয়া মেয়াদ শেষে ক্ষমতা ছাড়তে গড়িমসি করায় দেশে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তার ফলে দেশে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর নির্দেশে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করা হয় এবং সেনাবাহিনীর পছন্দ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে একটি বাছাই করা অসাংবিধানিক সরকার গঠন করা হয়েছিল। ১/১১-এর সময় কারাগারে থাকাকালীন শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা কল্পনা করে ফেলেছিলেন। ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেভাবে ভিশন ২০২১ ঘোষণা করেছিল সেটি সত্যিকার অর্থে বিস্ময়কর ছিল। রূপকল্প ২০২১ বা ভিশন ২০২১ ছিল ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী ইশতেহার। এটি দেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক রূপরেখা হয়ে ওঠে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তার নেতৃত্বে চারবার রাষ্ট্রক্ষমতার মধ্যে বর্তমানে টানা তৃতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আর চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার বিরোধী দলের নেতাও ছিলেন। শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’-এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
Leave a Reply