নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়েছেন ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার রোজী ও সাধারণ সম্পাদক নয়না আহমেদ।
২২ জুন পাঠানো বার্তায় ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার রোজী বলেন, আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ভেতর দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের। যুদ্ধ বিধস্ত দেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কাজ শেষ করে যখন দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে। ঘটনাক্রমে বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সামরিক স্বৈরাচার জিয়া-এরশাদ চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে আবার পাকিস্তানি আদলে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে। এই লক্ষে তারা মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে অর্জিত সংবিধান পদদলিত করে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল আত্মপরিচয় বিসর্জন দেয়ার চক্রান্তে মেতে ওঠে।
সাধারণ সম্পাদক নয়না আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে ৬ বছরের বাধ্যতামূলক প্রবাস জীবন থেকে ফিরে এসে গর্জে ওঠলেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের হাল ধরলেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে পারিচালিত দীর্ঘ ২১ বছরের বীরত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে ১৯৯৬ সালে পুনরায় প্রথমবার, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার এবং ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তৃতীয়বার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। অতীতের পুঞ্জিভূত সমস্যা, ক্লেদ ও দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে পুনরায় উন্নয়নের গতিপথে ফিরিয়ে আনেন তিনি।
আইনের শাসন কায়েম ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার লক্ষে প্রথমে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেন। বিচার সম্পন্ন হয় জাতীয় চার নেতা হত্যার। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। নির্মূল করেন জঙ্গিবাদ। অব্যাহত আছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
অবকাঠামো উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করছে; নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। গড়ে উঠছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের গৌরবোজ্জ্বল অগ্রযাত্রার পতাকা হাতে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই সামনের দিকে।
You cannot copy content of this page