নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আসলে আমরা সকলেই জানি যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে আমাদের এই দেশটাকে উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন সেখান থেকে আজ বহুদূরে নিয়ে গেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দেশকে যেভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাচ্ছেন তা কল্পনাতীত। শেখ হাসিনা-ম্যাজিকেই গত এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসসহ বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্ব নেতৃত্বকে চমকে দিয়েছে। যেখানে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ গত বছর ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে তার উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে, সেটাই ছিল বিস্ময়ের মূল কারণ। যেখানে করোনার প্রাক্কালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১ ভাগের কিছু বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল সেখানে আইএমএফ নিজেই বলছে তা চলতি বছর ৫ ভাগের বেশি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশে মহামারি মোকাবিলায় সরকারের জীবন ও জীবিকার এমন সুষম নীতির কারণেই বিষয়টি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। তাঁর দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৭ সালের ১৯ মে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা দেখে তাদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগ নেতার দান করা জমিতেই শুরু হয় পুনর্বাসন কার্যক্রম। আর ১৯৯৭ সনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সমগ্র দেশে শুরু করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- এটি বর্তমান সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অন্যতম একটি লালিত স্বপ্ন, যেটি তিনি শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চলেছেন গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে। আসুন আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার এই গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আরও সামনের দিকে নেওয়ার জন্য তার হাতকে আরও শক্তিশালী করি যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মগুলো বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
Leave a Reply