প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ২:৩০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৬, ২০২১, ১:১৫ অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এক সোনালী অবস্থানে স্থান করে নিয়েছে: হাসান ইকবাল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির যে ইতিহাস সেটার যে গোড়াপত্তন সেটা মূলত বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একে অপরের পরিপূরক। এই বাংলাদেশের গোড়াপত্তন শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনে। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রয়োজনে। পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এন দাস লেনের রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে দলটি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পথচলা, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক চেতনার দূরদর্শী বাস্তবায়নে যে দলটি সর্বদা অগ্রগামী ছিল তা হলো এখনকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কয়েক বছর দলটি অস্তিত্বসংকটে পড়েছিল। ১৯৭৫-৮১ এই কয়েক বছর বাদ দিলে দলটি সব সময়ই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। অতীতে অনেকবার দলটি ক্ষমতায় যেমন ছিল, তেমন বিরোধী দলেও ছিল। বিরোধী দলে থাকার সময়ও শক্ত অবস্থানে ছিল। যে সংগঠন বিরোধী দলে থেকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে পারে না, সে দল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গিয়েও ভালো করতে পারে না। আওয়ামী লীগ অবশ্য ক্ষমতায় থাকার চেয়ে বিরোধী দলে থেকে উজ্জ্বল ভূমিকা পালনের রেকর্ড গড়েছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের যৌথ নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্নে এই দলের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয়। স্বাধীনতার পর নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে, গেল ৪০ বছর দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, সময়ের হিসাবে যা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অর্ধেকের বেশি। আজকে তারই হাত ধরে বাংলাদেশ এক সোনালী অবস্থানে স্থান করে নিয়েছে। এখন আমাদের উচিৎ একদিকে যেমন আমাদের উন্নয়ন হবে সেগুলোর পাশাপাশি আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই আওয়ামী লীগের ইতিহাস সম্বন্ধে আরও জ্ঞান লাভ করা।
© 2024 Probashtime