মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই সময় বিনা কারণে ঘর থেকে বের হলেই হতে পারে জেল-জরিমানা। আর এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বুধবার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই সব কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে বিধিনিষেধের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এরই আলোকে মূলত ১০৬ জন কর্মকর্তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে থাকবে সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন।এদিকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয়ভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবেন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদেশে সাত দিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। বুধবার (৩০ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিধিনিষেধ চলাকালে সারাদেশে সকল সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে গণপরিবহন-শপিংমল। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে শিল্পকারখানা।
Leave a Reply