ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এর মধ্যেই নিহিত। বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ-শেখ হাসিনা এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবন তাঁর চিন্তা চেতনার মধ্যে ছিল কিভাবে এই বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্যে এনে কিভাবে এই দেশটাকে স্বাধীন করা যায়। তাই সেই ১৯৩৯ সাল থেকেই তিনি শুরু করেছিলেন এবং ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১ সালের যে আমাদের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পেরেছি যে, বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপান্তর করার জন্য তাঁর যে চেষ্টা, সংগ্রাম, জীবন যুদ্ধ, সব কিছুই ছিল এই বাংলাদেশের স্বাধীন মানচিত্র আনার জন্য। তাই আজ আমি বিনম্রচিত্তে তাকে স্মরণ করতে চাচ্ছি। কঠিন চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে ৭২ বছরের আওয়ামী লীগকে বর্তমান অবস্থানে আনতে পিতা-কন্যার অবদানই সর্বোচ্চ। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন ও বিবর্তনের সাক্ষী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে চলা এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থায়ী আসনে প্রতিষ্ঠা দিতে সক্ষম হন। কমনওয়েলথ, জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভসহ আমেরিকা, ব্রিটেন ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হন। দেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি চাঙা করে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পর বেশিদিন দেশের মাটিতে নিশ্বাস নিতে পারেননি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন দেশের বুকেই ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হতে হয়েছে তাকে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা। এরপরও অনেকবার অপশক্তির ছোবলে রক্তাক্ত হতে হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে। বিভিন্ন সময় ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ছাড়াও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। আমি তো মনে করি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ব্যতিত বাংলাদেশ একেবারেই অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারতো না যদি না আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু বা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকতো। বাঙালির চিন্তার জগতে, ভাবনার ভূবনে, মেধার উৎকর্ষে, কিংবা ভরসার আশ্রয়স্থল হিসেবে-সবস্থানেই খুঁজে পায় বঙ্গবন্ধুর বিশাল ব্যক্তিত্ব ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে।
You cannot copy content of this page