করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতা না পেয়ে খামার কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন ধরে এভাবেই গরু বিক্রি করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এলাকার কোরবানির পশুর হাটে কেনাবেচা একেবারেই কম। এই পরিস্থিতিতে হ্যান্ডশেক এগ্রোর মতো বেশ কয়েকজন খামারমালিক ঘরে বসেই অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন।
এতে সাড়াও মিলেছে বেশ। হ্যান্ডশেক এগ্রোর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভূইয়া রুবেল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে খামার চালাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে কোরবানির জন্য শতাধিক গরু পালন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১শ গরু বিক্রির উপযোগী হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গতবারের মত এবারও অনলাইনে গরু বিক্রি করা শুরু করেন। মাত্র ১৫ দিনে তাঁর ৩০টি গরু বিক্রি হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী দামও পাচ্ছেন। বাকি গরু গুলো বিক্রির জন্য দামদর চলছে। তিনি আরো জানান, রয়েছে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা। এতে ঈদের ২-৩ দিন আগে তারা গরু পৌঁছে দেবেন ক্রেতার ঠিকানায়। চাহিদা অনুযায়ী গরু জবাই করে গোসত দেওয়া হবে। করোনা পরিশ্রিতির কারণেই এ সেবা বলে জানান তিনি।
১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হ্যান্ডশেক এগ্রো থেকে অনলাইনে গরু কিনেছেন নিজামুল হক গনি। তার বাসা ঢাকার মুগদায়। তিনি বলেন, গরু কিনেছি কয়েকদিন আগে কিন্তু ঈদের আগের দিন বাসায় নেব। তাদের গরুগুলো বেশ ন্যাচারাল।
-
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার ডা. রাশেদুজ্জামান মিয়া জানান, কাপাসিয়া গরু খামারের জন্য খ্যাতি রয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৮০০টি গরু খামার রয়েছে। এসব খামারে চলতি বছর প্রায় ৯ হাজার গরু পালন করা হচ্ছে। দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি এসব খামারে গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম চলে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে খামারগুলোতে সেভাবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। এ কারণে স্থানীয় খামারিরা অনলাইনে গরু বিক্রির সিন্ধান্ত নেন। উপজেলার সবচেয়ে বড় খামার হ্যান্ডশেক এগ্রো বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গরু বিক্রি করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।