আগেই সমাধান হয়েছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ডরমেটরি ভবনের রুমের সমস্যাটি। সমস্যা সমাধানের পরও ঘটনাটি বিকৃতভাবে প্রকাশ্যে আসায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ঘটনায় নাম উঠে আসা সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন ও ডরমেটরি ভবনের পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও।
ঘটনার সূত্রপাত, গত ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে ডরমেটরি ভবনে রুম নিয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর লিখিত পত্র নিয়ে। যা পরে একটি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়।
ঘটনায় নাম আসা সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনের দাবি ঘটনাটি বিকৃতভাবে সামনে এসেছে। তার দাবির সত্যতা মিলেছে ডরমেটরি পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, ঘটনায় সংশ্লিষ্ট জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. দিলারা জামান ও প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর বক্তব্যেও।
প্রতিবেদকে লিখিত পত্রের বিষয়টি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর বক্তব্যেরও অসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। ফলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সার্বিক বিষয়টি নিয়েই।
জানা যায়, লিখিত পত্রে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে যােগ দেয়ার পর বাসা দূরে (সিলেটে) হওয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের এপ্রিল থেকে থাকার জন্য ডরমেটরির (৬০৪এ) কক্ষটি আমার নামে লিখিতভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। করােনার কারণে এপ্রিলে উঠতে না পারায় ১ জুন নির্ধারিত রুমে উঠতে গেলে পাশের (৬০৪ই) কক্ষে অবস্থানরত সহকারী প্রক্টর শাহনাজ পারভীন বলেন, আমাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কীভাবে কক্ষটি বরাদ্দ দেন বলে প্রশ্ন তুলেন। নবনিযুক্ত উপাচার্যের সভায় বরাদ্দ পেতে হবে বলে জানিয়ে দেন। এই রুমটি তার বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকের। মাঝেমধ্যে তিনি এখানে আসেন।’
লিখিত পত্রে, কাগজপত্র দেখানোর পরও ওনাকে রুমে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া রুমটিতে সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনের বোন অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
তবে ডরমেটরি ভবনের পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বলছেন অভিযোগপত্র পাওয়ার আগেই বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. দিলারা জামানও। এরপরও বিষয়টি বিকৃতভাবে প্রকাশ্যে আসায় বিব্রত ডরমেটরি পরিচালনা কমিটি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরী লিখিত পত্রের বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযোগপত্র ২৭ জুন তারিখে জমা দিয়েছি। কিন্তু ২৮ তারিখ থেকে লকডাউনের কারণে বিষয়টি সমাধানের সুযোগ হয়নি। আমার জন্য ৬০৪-এ রুমটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাশের রুমটি শাহানাজ পারভীন ম্যামের ছিলো। আমার রুমটি ওনার দখলে ছিলো। আসলে ওনার বোন পরিক্ষা দেওয়ার জন্য আছেন।’
এবিষয়ে ডরমেটরি পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রেগুলার ভিজিটের জন্য ডরমেটরিতে ২৭ তারিখ যাই। উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সিট বরাদ্দের এখতিয়ার থাকা সাপেক্ষে কোষাধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সুপারিশে স্বপ্নীলা চৌধুরীকে ডরমেটরিতে সিট দেয়া হয়েছে। শাহানাজ পারভীনের সাথে রুম নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিলো তা ২৭ জুন তারিখই সমাধান করে দেয়া হয়েছে। সেদিনই বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে স্বপ্নীলার জন্য যে রুম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সে সেখানেই থাকতে পারবেন এবং চাইলে আজকেই উঠতে পারবেন। তিনি সেদিন না থাকায় বলে দেয়া হয়েছে যে তিনি যেদিন আসবেন সেদিনই বরাদ্দকৃত রুমে উঠতে পারবেন।’
লিখিত পত্রের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিজিট শেষে সবকিছু সমাধান হওয়ার পর লিখিত পত্রটা আমি দেখেছি। সমাধান হওয়ার পর যা হয়েছে তা আসলে দুঃখজনক। স্বপ্নীলাকে অন্য রুমে দেয়া হয়েছে বা এখন যেসব কথা হচ্ছে সেগুলো সমাধানের ১৫-২০ দিন আগের কথা। পরে ২৬ জুন একটি মিটিং করি এবং ২৭ জুন ভিজিটে যাই। তারপর ৩০ জুন সেটাকে চূড়ান্ত করে দেয়া হয়েছে। শাহানাজের পাশের রুমে অন্য একজন ম্যাডামকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। সেজন্য স্বপ্নীলা অন্য একটা রুমে সাময়িক থাকার জন্য বলা হয়। শাহানাজ পারভীনের পাশের রুমের ম্যামও পরবর্তীতে উঠেননি। তার বোন ছিলো, উঠতে দেয়া হয়নি এগুলো সব পুরনো কথা। এগুলো সব ২৬ তারিখের পরই সমাধান করে দেয়া হয়েছে। তারপরও কেনো এমন বিব্রতকর অবস্থা সে ব্যাপারে আমার জানা নেই। এমন পরিস্থিতির আগে কেউ আমাদের ফোনও করেনি।’
ডরমেটরি কমিটির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে সমস্যা সমাধান হওয়ার পরও তাহলে কেনো লিখিত পত্র দেওয়া হলো?
এবিষয়ে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরী বলেন, ‘পরে যখন আমি উঠতে পারি নাই তখন আমাকে একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটার স্থায়ী সমাধান হয়নি যার কারণে আমার লিখিত অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া। আমি আশাবাদী ওনারা একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিবে। আসলে লকডাউন টা চলে আসার কারণে হয়তো একটু দেরী হচ্ছে।’
২৭ তারিখে সমস্যা সমাধান হয়েছে বিষয়টি জানতেন না বলে বোঝা যায় প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর বক্তব্যে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে ডরমেটরি পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর বক্তব্য নিয়ে। যেহেতু তার দাবি তিনি সমস্যা সমাধানের বিষয়টি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. দিলারা জামানকে জানিয়েছেন এবং প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীকে জানাতে বলেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় বিভাগীয় প্রধান ড. দিলারা জামানের সাথে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিলো, তবে রিসেন্টলি মিটিং করে এটির সমাধান করা হয়েছে। সেই রুমে উঠতে কিছু সমস্যা হয়েছিল, এখন অফিসিয়ালি সেই সমস্যা দূর হয়েছে। তাকে যেই রুমে এলোকেটেড করা হয়েছে এখন সেই রুমেই উঠবেন। আমাকে প্রশাসন থেকে ফোন করে সিদ্ধান্তগুলি জানানো হয়েছে এবং স্বপ্নীলা ম্যাডামকে সিদ্ধান্তগুলি জানাতে বলেছে। আমি স্বপ্নীলার সাথে ফোনে কথা বলেছি এবং বিষয়গুলি জানিয়েছি।’
ড. দিলারা জামান ও প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর বক্তব্যে নিয়ে অসঙ্গতি তৈরি হয় এক্ষেত্রে। তবে ড. দিলারা জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা শেষ হওয়ার কিছু সময় পর প্রতিবেদকের নম্বরে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর মুঠোফোন নম্বর থেকে।
ক্ষুদে বার্তায় তিনি লেখেন,’আমাকে এইমাত্র জানানো হয়েছে যে আমার রুমে আমি উঠতে পারবো, কোনো সমস্যা হবে না, মিটিং-এ বিষয়টার সমাধান হয়েছে।’
তবে লিখিত পত্রে উনি দাবি করেছেন, সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনকে তিনি কাগজপত্র দেখালেও তাকে উঠতে দেওয়া হয়নি। তবে সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনের দাবি, তাকে কোনো কাগজপত্র দেখানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে কাগজপত্র না দেখানোর বিষয়টি স্বীকার করেন তিনিও।
এবিষয়ে সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘উনি আমাকে কোনো কাগজপত্র দেখাননি। সেসময় আমি বের হচ্ছিলাম, কথা বলারও সময় ছিলো না সেভাবে।’
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনকে রুমের কাগজপত্র দেখানোর বিষয়টি জানতে চাইল, প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরী বলেন, ‘ওনাকে কাগজ আমি দেখাইনি। যেদিন আমি ওনার রুমে গেছি সেদিন আমার কাছে কাগজ ছিলো কিন্তু কাগজ দেখানোর কোনো সুযোগ আমি পাইনি। কারণ তিনি অনবরত বলে যাচ্ছিলেন যে, এই রুমে সিট বরাদ্দ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে করা হয়েছে।’
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনের দাবি ও কাগজপত্র না দেখালে কেনো লিখিতপত্রে কাগজপত্র দেখানোর কথা উল্লেখ হয়েছে এপ্রসঙ্গে প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরী বলেন, ‘ আমার হাতে কাগজ ছিলো কিন্তু আমি দেখানোর সুযোগ পাইনি। কিন্তু উনি আমাকে বলছিলেন এটা নিয়ম বহির্ভূতভাবে হয়েছে, উনি রেজিস্ট্রার অফিসে যেয়ে দেখবেন। একারণে আমি লিখিত পত্রের সাথে এটা উল্লেখ করেছি।’
প্রভাষক স্বপ্নীলা চৌধুরীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিট বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ডরমেটরি নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী আবেদনকারীদের মধ্য থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের প্রাধন্য পাওয়ার কথা। সে হিসেবে উনি কিছুমাস আগে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়াও আমার কলিগেরও আবেদন করা ছিলো, যিনি পদমর্যাদার দিক থেকেও সিনিয়র। তাই আমি রেজিস্ট্রার দপ্তরে যেয়ে বিষয়টি দেখতে চেয়েছিলাম।’
এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডরমেটরি পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. নূর আলম আবদুল্লাহ জানান, ‘উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সিট বরাদ্দের এখতিয়ার থাকা সাপেক্ষে কোষাধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সুপারিশে স্বপ্নীলা চৌধুরীকে ডরমেটরিতে সিট দেয়া হয়েছে।’
লিখিত পত্রের অভিযোগের সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘উনার সাথে আমার মুঠোফোনে যোগাযোগ হয়েছে। একদিন তিনি ফ্লাটে এসেছিলেন। স্বপ্নীলা ম্যাডাম আমাকে জানায় যে তিনি এখানে এলোটেড। আমি তখনও জানতাম না যে এখানে এলোটেড। আমি তার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছি। বলেছি পরের দিন আমি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জেনে তাকে জানাবো। কেননা আমি জানতাম এখানে একজন সিনিয়র শিক্ষিকা থাকার জন্য আবেদন করেছে এবং মৌখিকভাবে বলেও রেখেছে। নীতিমালা অনুযায়ী সেই শিক্ষিকার উঠার কথা। কিন্তু বিশেষ সুপারিশে উনি সিট পেয়েছে সেটা আমি জেনেছি জুনের শেষের দিকে। ২৭ তারিখ ভিজিটে এসে ওনারা স্বপ্নীলা ম্যাডামের সাময়িক বরাদ্দকৃত রুমে যায় এবং সেখানে গিয়ে রুমে তালা দেখতে পান। পরবর্তীতে কমিটির সদস্যরা স্বপ্নীলা ম্যাডামকে এ রুমে থাকতে পারবেন বলে জানান এবং আমিও বলেছি কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবে তা অবশ্যই মেনে নিতে রাজি।’
বোনের থাকার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময় ডরমেটরিতে যখন কোনো শিক্ষিকা ছিলো না তখন আমি কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকের পরামর্শে নিরপত্তার জন্য আমার বোনকে আমার সাথে এনে রাখি। পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য সে কিছুদিন থাকে। যা আমি কমিটির সবাইকেই জানিয়েছি। এমনকি করোনাকালীন সময়ে অনেকের আত্নীয়স্বজনই এসে থেকেছেন। আর রুম দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় আমি কিছু জিনিসপত্র সেখানে রাখি। তাই বলে আমি রুম দখল করে ফেলেছি এটা বলা তো কোনোভাবেই ঠিক নয়। অন্য কেউ আসলে অবশ্যই আমি সেগুলো সরিয়ে নিবো। আমার ব্যাপারে যেসব প্রকাশ্যে এসেছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘আমি যেহেতু বিষয়টি জানিনা এবং তাকে চিনতামা না, হুট করেতো কাউকে রুমে আসতে দিতে পারি না। এছাড়াও নীতিমালা অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষকদের প্রাধন্য পাওয়ার কথা সে হিসেবে আমার একজন কলিগের ওঠার বিষয়টি আমার জানা ছিলো। তাই রেজিস্ট্রার দপ্তরের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৭ তারিখ সকল ঘটনার অবসান হওয়ার পরও লিখিতপত্র দেওয়া এবং সমস্যা সমাধান হওয়ার পরও বিকৃতভাবে ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আমি বিব্রত।’
ঘটনাটি বিকৃতভাবে প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে ডরমেটরির পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের পর যা ঘটেছে ভালো কিছু হয়নি, খুবই খারাপ হয়েছে।’
ডরমেটরি পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান এবিষয়ে বলেন, ‘আমরা ২৭ তারিখ ভিজিট করে সবার সিট বন্টন করে দিই।’
Leave a Reply