শাহানুর শরীফঃ
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের সঙ্গে গাজীপুরের দুটি সংযোগ সড়কেরই বেহাল দশা। সড়ক দুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পূবাইলের কলেজগেট ও ৪০ নং ওয়ার্ডের কলেরবাজার থেকে জয়দেবপুর সংযোগ সড়ক দুটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। এই দুটি সড়কে রয়েছে তিনটি ঝুকিপূর্ণ সেতু। সেতুগুলো মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক ও সেতুগেুলোর বেহালের জন্য যানবাহন চলাচল প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মহানগরের পূবাইলবাসী ও জেলা শহরে কর্মরত এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন।
সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোকে পূবাইলের দুঃখ বলে অভিহিত করছেন অনেকেই। কিন্তু সড়ক দুটি ‘দেখেও কেউ দেখছে না’ বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন। ঝুকিপূর্ণ সেতুগুলোর মধ্যে ৪১নং ওয়ার্ডের ভাদুন এলাকার সেতুর অবস্থা একেবারেই নাজুক। সড়কটিতে ইটাসংস্কার ছাড়া কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়ক দুটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী-পূবাইল সড়কের কলেজগেটে এসে জয়দেবপুরকে সংযোগ করেছে। অন্যটি ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের কলের বাজার থেকে গাজীপুরকে সংযুক্ত করেছে।
ঢাকা-টঙ্গী, কালীগঞ্জ উপজেলা ও পূবাইলের অনেকেই বিভিন্ন কাজে জেলা শহর গাজীপুরে যেতে সড়ক দুটি ব্যবহার করেন। কিন্তু বছরের পর বছর রাস্তাটি দুটি খানাখন্দে বেহাল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া সড়ক দুটি অনেক পুরানো। চলমান সড়ক সচল না রেখে নতুন নতুন সড়কের কাজ চলছে অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া সদর হাসপাতালে যেতে রোগীরা সড়ক দুটি ব্যবহার করতে না পেরে বিপাকে রয়েছেন।
এ সড়ক দুটির পাশেই গড়ে উঠেছে ১০-১৫টি শুটিং স্পট, রিসোর্ট ও কলকারখানা। শুটিং ও পিকনিকে আসা গাড়িগুলোকে প্রায় সময়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ভাঙাচোরা সড়কে।
সরেজমিনে ৪১নং ওয়ার্ডের ভাদুন এলাকার সেতুটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ লেখার একটি লেমিনেশন করা একটি নোটিশ কার্ড ঝুলিয়ে দায় সেরেছে সিটি কর্পোরেশন। যদিও নিষেধ উপেক্ষা করে দিনে হাজার হাজার ভারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দিয়ে।
এলাকাবাসী বলছেন, ফাটল ধরা, সেতুর মাঝখানে গর্ত হওয়া ও জরাজীর্ণ পিলারের গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর নিচে গিয়ে দেখা যায়, মাঝখানের একটি গর্ত দিয়ে আকাশ দেখা যাচ্ছে। ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে সেতুটি।
এ সড়কে চলাচলকারী নিয়মিত যাত্রী পূবাইল ভূমি অফিস সহকারী নাজমুল হোসেন জানান, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হয়। রাস্তাও ঝুকিপূর্ণ। সেতু তিনটি স্থায়ীভাবে মেরামত করলে জেলা শহরে যাওয়ার যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আকবর হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু তিনটি ও সড়ক দুটি ৬০ ফুট প্রশস্তকরণসহ দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। চলাচলের উপযোগী করতে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে দুএকদিনের মধ্যেই।
Leave a Reply