নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামের আল- মামুনের সুদের কারবার ও প্রতারণার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন হয়েছে। (১ আগষ্ট) রবিবার বিকালে শোলপুর বিধানের মোড়ে কয়েক শত নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন,বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন করেন।
ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয় নারী, পুরুষ, জনপ্রতিনিধি একত্রিত হয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খয়েরুজ্জামান মোল্যা, চাচুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ( হিরক) কালিয়া উপজেলা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমীর হোসেন , ক্ষতি গ্রস্থ ভিম বিশ্বাস, সহ অনেকে। বক্তারা সুদে ব্যবসা বন্ধ ও তার প্রতারণার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
যানা গেছে, এলাকার কুখ্যাত সুদে ব্যবসায়ী বাগেরহাটে কর্মরত কারারক্ষী আল- মামুন শেখের হাত থেকে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ সুদে টাকা নিয়ে সর্ব শান্ত হয়ে ভিটে মাটি ছাড়া হয়ে গেছে। একাধিক পরিবার তাদের সম্ভল হারিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট ভারতে পাড়ি দিয়েছেন। তার সুদের সুদ কনকনে সুদে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেকে। সম্প্রতি সময়ে পাশের গ্রামের ভিম বিশ্বাস ৩ লাখ টাকা ৫% হারে সুদে নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে দিয়ে ও পার পাচ্ছে না ।
এলাকাবাসী জানান,১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে ভিম বিশ্বাস এক জন মৎস ব্যবসায়ী। মাছ চাষ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ তার পেশা। অধিক লাভের আশায় আল- মামুন শেখের নিকট ৫% হারে সুদে নেন ৩ লাখ টাকা। আর বিনিময়ে দেওয়া হয় ৩ টা ব্লাঙ্ক চেক। চেক দিয়ে বিপাকে পড়েন ভিম বিশ্বাস। সুদের সুদ কনকনে সুদ দিয়ে ও পার পাছেন তিনি। ৩ লাখ টাকার বদলে ৭ লাখ টাকার জমি লিখে দিয়ে চেক ফেরত চাইলে ও তাকে চেকফেরত দেওয়া হচ্ছে না। উলটে নিজেকে প্রশাসনের বড় অফিসার দাবি করে ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে। নিজেকে বাগেরহাটের কারারক্ষী বলে প্রশাসন দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।যানা গেছে, এই সুদে ব্যবসায়ীর সুদে ব্যবসায় অনেকেই সর্ব হারা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস ব্যবসায়ী বলেন, পাওনা টাকা সুদ সহ ফেরত দিয়ে ও আল- মামুন আমকে চেক ফেরত দেয়নি। উলটে আমাকে চেকের মামলা দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। আমি গরিব মানুষ। ব্যবসা করে খাই। আমি এই সুদেক্ষোরের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
আল- মামুনের ভাই আনিচ জানান,আমার ভাই বাগেরহাটে কারারক্ষী পদে কর্মরত আছেন। ভিম আমার এবং গ্রামের অনেকের উপস্থিতিতে তার পাওনা টাকা সুদ সহ পরিশোধ করেছে। কিন্তু ভাবি অসুস্থতার অজুহাতে তখন চেক ফেরত দেয় নি। এখন আল- মামুন নতুন করে টাকা দাবি করছে।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান,আল- মামুন এক জন চিহ্নিত সুদে ব্যবসায়ী। তার সুদে ব্যবসায় সর্বশান্ত হয়ে গেছে একাধিক পরিবার। তার সুদে ব্যবসায় বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে তার হাত থেকে ভিম সহ এলাকার সাধারন মানুষদের বাঁচানোর জোর দাবি জানিয়েছেন শোলপুর গ্রামের রাজু বলেন, আল- মামুনের সুদে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকে ভারতে পালিয়ে চলে গেছে। তিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে দিয়ে সেই টাকা হতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা সুদ নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল- মামুন জানান, আমি কোন সুদে ব্যবসায়ী না। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
Leave a Reply