এ দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।সিরিজ জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২.১ ওভারে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈমকে হারায় স্বাগতিকরা।জশ হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ নাঈম। প্রথম দুই ম্যাচে ৩০ ও ৯ রানে আউট হওয়া নাঈম এদিন ফেরেন মাত্র ১ রানে।
নাঈম আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। প্রথম দুই ম্যাচে ২ ও ০ শূন্য রানে আউট হওয়া এ ওপেনার এদিন ফেরেন মাত্র ২ রানে।
এরপর ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ৮.১ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন এ অলরাউন্ডার। অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১৭ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
সাকিবের পর রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন। ১২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফেরেন এ তরুণ ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে এক ছক্কা ও এক চারের সাহায্যে ১৯ রান করেন তিনি।
প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি শামিম পাটোয়ারিও। ১৩.৪ ওভারে দলীয় ৮১ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন শামিম। তার আগে ৮ বলে মাত্র ৩ রান করার সুযোগ পান তিনি। এরপর ৫ বলে ১১ রান করে রান আউট হন নুরুল হাসান সোহান।
তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৩ বলে খেলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন রিয়াদ।
১২৮ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে অস্ট্রেলিয়া। ১.৩ ওভারে দলীয় ৮ রানে নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। প্রথম দুই ম্যাচে ১৩ ও ৪ রানে আউট হওয়া এ তারকা ব্যাটসম্যানকে এদিন ১ রানের বেশি করতে দেননি নাসুম।
এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমটের জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। ৮ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান তারা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৬৩ রানের জুটি। সাকিবের শিকার হওয়ার আগে ৪১ বলে দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন ডারমট।
সাকিব আল হাসানের পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন শরীফুল। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ময়েজেস হেনরিকস ও মিচেল মার্শ। হেনরিকস ২ রানে আউট হলেও ৪৭ বলে ৫১ রান করে ফেরেন মিচেল মার্শ।সবশেষ ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধাতির ২০ ওভারে মাত্র ১১৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের পুঁজি নিয়েও ২৩ রানের দাপুটে জয় পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১২১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা।
You cannot copy content of this page