ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নীরবে নিভৃতে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছিলেন জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও জার্মানি আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনূস আলী খান বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে তার অনেক বড় ভূমিকা ছিল। জাতির পিতা যখন কারাগারে বন্দি তখন তিনিই এ জাতিকে নিজের পরিবারের মতো আগলে রেখেছিলেন।
রবিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইউনূস আলী খান বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রচারবিমুখ ছিলেন। নীরবে নিভৃতে কাজ করেছেন। তার স্বামী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। তার অবদান সেভাবে প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু আজ ইতিহাস থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। তিনি না হলে হয়ত বা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এরকম বিশাল অর্জন সম্ভব নাও হতে পারত।’
ইউনূস আলী খান আরও বলেন, ‘বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিরবে নিভৃতে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। তার স্বামী যতদিন কারাগারে ছিলেন তিনি তখন যেমনি বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত করার জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন ঠিক তেমনি তিনি বাঙালি জাতিকে পরিবারের মতো আগলে রেখেছিলেন। আজ তার ৯১তম জন্মদিনে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করছি।’
ইউনূস আলী খান আরও বলেন, ‘আর কয়েক দিন পরেই ১৫ আগস্ট। এই ১৫ আগস্টে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে জীবন দিয়েছেন। অসীম সাহসিকতা বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা ছিল তার। কীভাবে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে তা তিনি জানতেন। সেটা জানত বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে তিনি স্বাধীনতার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছেন।
Leave a Reply