টাঙ্গাইল (নাগরপুর ) প্রতিনিধি
করোনায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা ও বেঞ্চগুলোতে পড়েছে ধুলোবালির আস্তরণ। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের রাস্তা ও খেলাধুলার মাঠ ডুবে রয়েছে। এ ফলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ২২১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় কারণে প্রাথমিক ৬২ টি এবং মাধ্যমিক ১৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের রাস্তা ও খেলাধুলার মাঠ ডুবে রয়েছে।
সরেজমিনে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষে দরজা-জানালা মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। বেঞ্চগুলোতে পড়েছে ধুলোবালির আস্তরণ। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ গরু-ছাগলের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। ৭৮ টি সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের পানিতে ডুবে রয়েছে। এ ছাড়া ৯৬নং কাঠুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চারদিকে পানি ও কচুরিপানায় ভরে গেছে।
৯৬নং কাঠুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া আক্তার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে স্কুলের চারদিকে পানি থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
৪৭ নং কান্দাপাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, আমি নিয়মিত স্কুলে যাই এবং শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তবে স্কুলের বিতরে পানি ওঠেছিল বর্তমানে পানি কমে মাঠে বন্যার পানির কারনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বিথী বলেন, স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বহুদিন স্কুল বন্ধ থাকায় সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সাথে স্কুল পরিষ্কারের ব্যাপারে জুম মিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । বন্যার পানি বাড়ার কারণে নিচু অঞ্চলের স্কুলের মাঠগুলো জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
You cannot copy content of this page