রাজশাহীর পুঠিয়া থানার শিবপুর বাজার এলাকায় শশুরবাড়ীর সামনে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গ্রাম্য ডাক্তার স্বপন কুমার দাসের বাড়ীর সামনে সকাল ১০ টা থেকে অনশনে রয়েছেন পম্পা নামে এক তরুণী । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( রাত সাড়ে ৯ টা) প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
অনশন করা মেয়েটির নাম পম্পা, (২১), সে কুড়িগ্রাম জেলার রাজাহাট থানার তৈয়ব খাঁ গ্রামের মৃণাল কান্তি রায়ের মেয়ে। ছেলের নাম সজিব দাস পার্থ (২১), সে পুঠিয়া থানার হাট শিবপুর বাজার এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার স্বপন কুমার দাসের ছেলে।
জানা যায়, পার্থ কুড়িগ্রামে পড়াশোনার সুবাদে থাকাকালীন সময়ে পম্পা'র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পার্থ পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পম্পার পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিক আয়োজনে ২০১৮ সালের ১৪ আগষ্ট বিয়ে করে। এরপর পড়াশোনা শেষ করে পার্থ রাজশাহীতে ফিরে আসে। পরে পম্পা মুঠোফোনে বারংবার পার্থকে অনুরোধ করে আমাকে নিয়ে যাও। কিন্ত পার্থ আজ না কাল বলে তিন বছর কাটিয়ে দিলে পম্পা বুধবার ভোরের বাসে রাজশাহী চলে আসে। পম্পা পার্থর বাড়ীতে পৌঁছানোর পর পার্থ পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর পার্থ'র মা, বোন ও কাজের মেয়ে মারধোর করে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেন এবং বাড়ীতে তালা দিয়ে তারাও চলে যায়। এরপর থেকে পম্পা সেখানেই অবস্থান করছে।
অনশনরত পম্পা বলেন, আমাকে মারধোর করে বের করে দিয়েছে। আমি স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবো, তবুও এখান থেকে বাড়ী ফিরে যাব না। পুলিশ এসেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর নামে একজন এসআই এসেছিল, সব শুনে সে বলে গেল স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নিন।
এ ব্যপারে পার্থর পরিবার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী বলেন,, আমি এই মুহুর্তেে খুব বিজি আছি, বিষয়টি পরে দেখবো।
এ বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলমকে জানালে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।
You cannot copy content of this page