নড়াইলে এক কিশোরকে (১২) ধর্ষণের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন ও স্ত্রীর সাত বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলার বামনহাট গ্রামের লিয়াকত মোল্যাকে (৬৯) সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এদিকে, লিয়াকতের স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৫৮) সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইল সদরের বামনহাট গ্রামে ১২ বছরের কিশোরীকে প্রতিবেশি চাচা লিয়াকত মোল্যা ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর নামে ২০২১ সালের ৬ মার্চ সদর থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের প্রায় সাত আগে লিয়াকত ওই কিশোরীকে টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে। ফলে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তার মা ও বোনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। ইতোমধ্যে ভূক্তভোগী পরিবারের অজান্তে কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য আসামি লিয়াকত মোল্যা তাকে ওষুধ খাওয়ালে ওই বছরের ৪ মার্চ (২০২১) সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অপকর্মে লিয়াকতের স্ত্রী সুফিয়া সহযোগিতা করে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।#
Leave a Reply