মানুষের প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজন এ ঘর থেকে বের হতে হবে, রাস্তাঘাটে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেই চলাচলের রাস্তায় যদি হয় গাড়ি দিয়ে ঠাসা, মানে দীর্ঘ যানজট পাড়ি দিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়,তাহলে তার দূর্ভোগের সীমা থাকে না।
পড়তে হয় নানা রকম অসুবিধায়,এমন যানজটের কবলে পড়া, যেখান থেকে না পারা যায় সামনে যেতে, না পিছনে। আগের সেই পথে চলে আসতে,ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর মতই মিনিটের পর মিনিট, কখনো ঘন্টা ধরেও বসে থাকা হয় যানজটে।
বলছিলাম কাপাসিয়া উপজেলাধীন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন এর কাপাসিয়া বাজারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করা রাস্তার কথা।বিশেষ করে পাবুর - বরুন রোড মোড়, কাপাসিয় কলেজমুখী রাস্তার যানজটের কথা। এখানে গাড়ির জট যেন নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। না সকাল না দুপুর না সন্ধ্যা, জ্যাম লেগেই থাকে। যার ফল স্বরূপ যেকোনো শ্রেণী পেশার মানুষের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।
ছাত্রছাত্রীদের একটা বিশাল অংশ এই জ্যাম এ পড়ে ক্লাসে যেতে দেরি হয়। বিশেষ করে কাপাসিয়া সরকরী পাইলট স্কুল, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, হরিমন্জুরী স্কুল এর শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় হয় ব্যাপক বিড়ম্বনা। কেননা এ রাস্তার মোড় পাড় হয়ে ই যেতে হয় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের। যারা বাজারে পণ্য দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় এর উদ্দেশ্যে আসেন তারা কবে যে ঠিক সময়ে বাড়িতে তাদের কাজ সেরে পৌঁছাতে পেরেছেন সেটা স্মৃতিকথার মতই শুধু কাগজরে পাতায়। মাঝে মধ্যে মুমূর্ষু /ইমারজেন্সি রোগীদের পাঠানো হয় গাজীপুর বা ঢাকায়। তখন অনেক সময় এই রাস্তাটুকু পাড় হতেই প্রায় অধঘন্টা এক ঘন্টা লেগে যায়।
খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলতে গেলে তারা রিকশা, অটো চালিয়ে দিনাতিপাত করে। যদি ২৪ ঘন্টার এই দিনের বড় একটা সময় এই জ্যামে বসে অলসে কেটে যায় তাহলে তার পরিবার চলে কিভাবে! এমন হাজারো উদাহরণ দেয়া যায় এই জ্যামের ফলাফল হিসেবে।
কিন্তু দায়িত্বরত কোনো ট্রাফিক পুলিশ এর দেখা পাওয়া যায় নি কোনো দিন৷ যারা মাঝে মধ্যে এসে একটু দাঁড়িয়ে এই যানজট মোকাবিলার চেষ্টা করে সেটা যেন কয়েক মণ ওজনের কোনো হাতিকে গুটি কয়েক পিঁপড়ে মিলে কোথাও লোকানোর বৃথায় চেষ্টার মতই!বাইপাস সড়ক হয়েও লাভ হয়নি। বড় বড় ট্রাক, মালবাহী গাড়ীগুলোই যেন,এই যানজটের প্রধান কারণ। তাছাড়া অনির্ধারিত স্থান থেকে যাত্রী নেওয়া, যতত্রত গাড়ি পাকিং যানজট সৃষ্টিতে মূখ্য ভুমিকা পালন করে। তাহলে এই দূর্ভোগের শেষ কোথায়! কাপাসিয়া লাখো জনতা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে যখন এই পথ টুকু পাড়ি দিবে!
আদনান পারভেজ
গন যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ।
সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ।
You cannot copy content of this page