ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আসলে আমাদের ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৮ সাল থেকেই। পাকিস্তান যখন সৃষ্টি হলো তখন থেকেই বাঙালিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী এবং তাদের সঙ্গে এদেশের কিছু দালাল তাদের সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছিল। এই একুশের চেতনা বা বাংলা ভাষার ভিত্তিটা কোথায়? এই ভিত্তিটা হচ্ছে বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে। অর্থাৎ দেড় হাজার বছর ধরে বাঙালির যে সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে যে ভাষাটার উৎপত্তি হয়েছে টা ক্রমে ক্রমে পরিশোধিত হয়ে হয়ে আজকে আমরা বাংলা ভাষার যে রূপটি দেখতে পারছি সেটি হলও বাংলা ভাষা। অর্থাৎ এই বাঙালির সংস্কৃতিটা হলো আমাদের বাংলা ভাষার বহিঃপ্রকাশ। এই সংস্কৃতিকে বহমান রাখার জন্য বাংলা ভাষার সৃষ্টি। সেই বাংলা ভাষাকে অর্থাৎ এই বাঙালি সংস্কৃতিকে হত্যা করার জন্য তারা এই ষড়যন্ত্রের যাত্রা শুরু করে। এই ভাষাকে নষ্ট করতে পারলে এই বাঙালি সংস্কৃতি নষ্ট করে দেওয়া যাবে তখন এই বাঙালির কোন শিকড় থাকবে না, আর যখন শিকড় থাকবে না তখন এদেরকে শোষণ, নির্যাতন ও শাসন করা যাবে। বাঙালি সংস্কৃতির যে মূল জায়গা অর্থাৎ যে চেতনাটি আমাদের কি শিক্ষা দেয়। এই চেতনা আমাদের শিক্ষা দেয় যে এই রাষ্ট্রের সব কিছু হবে অসাম্প্রদায়িক এবং একেবারেই সবাই এখানে সমান অধিকার ভোগ করবে। আমাদের রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই অসাম্প্রদায়িকতায় হচ্ছে আমাদের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে এবং জাকজমকভাবে আমাদের দেশেও এই দিবসটা পালিত হচ্ছে। কিন্তু এটা কি শুধু একটা পোশাকি অনুষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে কিনা? সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে এই একুশের যে মূল চেতনা সেটা তাদের মনোজগতে ধারণ করতে হবে। তাহলেই এই একুশের চেতনার মূল বাস্তবায়ন সার্থক হবে।
You cannot copy content of this page