1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কনকনে শীতে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতবস্ত্র পেলেন দুস্থরা উদীচী মচমইল সম্মেলনে সভাপতি আফির, সম্পাদক শীতেন্দ্র রাজশাহী ক্যান্ট: পাবলিকে উদযাপিত হলো বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনী রাজশাহীতে বেগম খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  ভূল্লী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুণীজন সম্মাননা বৈষম্যহীন রাজশাহী সংস্কৃতি পরিষদ গঠিত  ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটায় অভিযান,২ লাখ টাকা জরিমানা নিজ হাতে মাঠ পরিষ্কার করলেন জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ

ভূল্লীতে গরিবদের তৃপ্তি মেটাতে ‘ভাই সাহেব হোটেল’

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২
  • ৬৪৬ জন পড়েছেন
সুজন ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ গরিবদের তৃপ্তি মেটাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী বাজারে ‘ভাই সাহেব হোটেল’। দুপুর হওয়া মাত্রই এখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। সবাই হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণের জন্য বসে পড়েন। তাদের মাঝে খাবার পরিবেশন করেন হোটেল মালিক দারাজ উদ্দীন ভাই সাহেব (৫৫)। এখানে মাত্র পঁচিশ টাকায় মেলে দুপুরে খাবার।

উপজেলার ভূল্লী বাজারের ভাই সাহেব হোটেলের প্রতিদিনের দৃশ্য এটি। অল্প দামে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় বলে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে এই হোটেলের। দুপুর হলেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কর্মজীবী মানুষ ভিড় করেন এখানে। উদ্দেশ্য তৃপ্তি সহকারে দুপুরের খাবার খাওয়া।

খাওয়ার থালায় তরকারির মধ্যে থাকে বয়লার, মাছ, সালাদ, ভর্তা, ভাজি, ডাল ও ডিম । এর সঙ্গে এক প্লেট ভাত। দাম (বিল) মাত্র ১০ টাকা। সঙ্গে ডিম পেতে হলে গুণতে হবে মাত্র ১৫ টাকা। মাছ পেতে হলে গুণতে হবে মাত্র ২৫ টাকা।

মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এই হোটেলটি। খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে শতাধিক শ্রমিক দুপুরের খাবার খান এই হোটেলে। ভূল্লী বাজারে কাজ করতে আসা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো মূলত এখানে আসেন। বড় হোটেলে খেতে বেশি টাকা লাগে বলে তারা ভাই সাহেবের হোটলে খেতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

রান্নাবান্না করেন হোটেল মালিক দারাজ উদ্দীন ভাই সাহেব নিজেই। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে হোটেলটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে বেশ ঘরোয়া পরিবেশে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের যত্ন সহকারে খাওয়ান তারা।

ভাই সাহেব হোটেলের মালিক দারাজ উদ্দীন বলেন, ‘গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে এই ভাতের হোটেল খুলে বসি। দিনশেষে হোটেল থেকে আয় খুব বেশি একটা হয় না। দোকানের খরচ বাদ দিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মতো লাভ হয়।’ আর এতেই সন্তুষ্ট তিনি।

চার সদস্যের পরিবারে ওই আয় দিয়ে তাদের ভালোই চলে। এর মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাদের। হোটেল ব্যবসা করে ছেলেকে একটি পোল্টি ফার্মের খাবারের দোকান করে দিয়েছেন তিনি। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।

তিনি জানান, ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভ-লোকসান নিয়ে ভাবি না। লোকজনের তৃপ্তি মেটানো নিয়ে চিন্তা করি। এজন্য সবসময় কম দামে ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি। এখানে যারা নিয়মিত গ্রাহক, তারা সবাই শ্রমজীবী। কাজের তাগিদে তারা ভূল্লী বাজারে আসেন। তাদের জন্য এই হোটেল। হোটেলটির অবস্থান ভূল্লী বাজরের নিউ হাজী মার্কেট সংলগ্ন। সকলেই ভালবেসে তাহাকে ভাই সাহেব ডাকেন। তাই তিনি হোটেলের নাম দিয়েছি ‘ভাই সাহেব হোটেল’।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page