ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বন্ধ ঘরে পবিত্র কোরআন শরীফে হাত রেখে ওয়াদা করে এবং ভুয়া কাবিনে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের পর দীর্ঘদিন মেলামেশা করে এক নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পুলিশের উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ।
এ বিষয়ে ঐ ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অবশেষে জীবনের নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ নারী।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ঐ নারী এসব অভিযোগ করেন। বাবা-মাকে পিটিয়ে বাড়ি ছাড়া করলো ইউপি সদস্য পুলিশের উপ -পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিল।
সম্প্রতি মাদক সেবন ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ এবং আদালতে মামলার পর তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।
তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায়। সেখানে তার পুর্বের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐ নারী লিখিত অভিযোগে জানান, পীরগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তার সাথে পরিচয় হয় আমার। এরপর আমার ভাড়া বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে বিয়েসহ শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দিত জাহাঙ্গীর। আগের স্ত্রী-সন্তান আছে জানার পর প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে একদিন জোর ঘরে ঢুকে ভুয়া কাবিন নামায় স্বাক্ষর নিয়ে আমার সাথে ঘর সংসার শুরু করে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই বাড়িতে নিয়মিত মাদক সেবন, আমার কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া এমনকি নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। পুলিশে চাকরির কারণে ভয়ে আমি সহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। হোটেলে আটকে রেখে প্রেমিকাকে চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ! পরবর্তীতে স্ত্রী হিসেবে তার বাড়িতে সংসার করতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ,সে যৌতুক বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা নেয় আসবাবপত্র কেনার জন্য। টাকা নেওয়ার পরে বিয়ের কাবিন ভুয়া বলে আমাকে স্ত্রী হিসেবে নয় বরং সাময়িক ব্যবহার করার জন্য এসব নাটক করেছে বলে জানায় ঐ পুলিশ। আমি নিরুপায় হয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে কোন সুফল না পাওয়ায় গত ২৩/০১/২০২২ ইং তারিখে আদালতে মামলা করি।
মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অপরদিকে মামলা হওয়ার পর থেকেই পুলিশের ভাড়া করা গুন্ডা আমাকে নিয়মিত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমাকে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।
সংবাদ সম্মলেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেন ঐ নারী। পুলিশের উপ– পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের নিকট মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে ঐ নারীর নাম শুনেই এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
Leave a Reply