শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহীঃ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারে ঝড় ওঠা রাজশাহীর (ক্রিয়েটিভ) সৃজনশীল মিষ্টির দোকান রসগোল্লা’র এবছর রমজানের অন্যতম আকর্ষণ কাঁচা আমের জিলাপি’তে আম না থাকায় ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের দায়ে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় রাজশাহী উপশহর নিউ মার্কেটের সামনে রসগোল্লা নামের মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারার অপরাধ করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর, রাজশাহী’র সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ অপরাধ বিবেচনা করে রসগোল্লা দোকান মালিককে সর্বমোট ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন।
সাধারণ ভোক্তাসহ নাগরিক সমাজের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযানে রাজশাহী রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, মোঃ আরেফিন জুয়েল,অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি)
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, বিএসটিআই রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ মহানগর এলাকায় ভেজাল খাদ্য বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তারা লক্ষ্য করেন রসগোল্লা নামক মিষ্টির দোকানে আমের তৈরী জিলাপী প্রকৃতপক্ষে আমের তৈরী জিলাপী নয়। আমের তৈরী জিলাপী নাম দিলেও তাদের তৈরী জিলাপীতে ময়দা, মসুরডাল, মুগডালসহ বিভিন্ন প্রকার পাউডার ও রাসায়নিক কালার ফুড গ্রেইন ব্যবহার করে মূলত জিলাপী তৈরী করে। আমের বিষয়ে দোকান মালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে স্বীকার করে, আমের তৈরী জিলাপীর কথা প্রচার এবং
বিক্রয় করলেও প্রকৃতপক্ষে খুবই সামান্য পরিমান গাছ থেকে ঝড়ে পড়া ছোট আমের পেষ্ট ব্যবহার
করে তারা তাদের জিলাপী তৈরী করেন যা তাদের প্রচারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না এবং ভোক্তাদের
সাথে প্রতারণার শামিল। রসগোল্লা দোকানের মালিক, গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা, বিএসটিআই
কর্মকর্তা, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাধারণ জনগন, আগত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে তার ভুল স্বীকার করে আজ থেকে ভবিষ্যতের জন্য আর এরুপ অন্যায় অপরাধ করবে না মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান পূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রসগোল্লা দোকানের মালিক তার এই কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
Leave a Reply