ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে ভাই ও ভাতিজিকে আহত করা হয়েছে। স্বজনেরা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করেছেন।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুর সাত্তার (৩৫) ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে প্রয়াত বদিউজ্জামানের ছেলে ও তার আড়াই বছরের মেয়ে আফিয়া জান্নাত।
এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আব্দুস সাত্তারের ভাই ইসমাইল হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৪) কে আসামী করা হয়।
মামলায় বলা হয়, গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে আব্দুস সাত্তার তার মেয়ে আফিয়া জান্নাতকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। এসময় ভাই ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম তাদের পথরোধ করে। এরপর উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আব্দুস সাত্তার ও তার মেয়ে আফিয়া জান্নাতকে আহত করে। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সাত্তার ও তার মেয়ে আফিয়া জান্নাতকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ রকিবুল আলম চয়ন বলেন, আব্দুস সাত্তারের বাম চোখের উপরে জখম রয়েছে ও তার মেয়ে আফিয়া জান্নাতের ডান চোখের উপরে জখম রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তারা দুজনে এখন তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, আব্দুস সাত্তার একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
You cannot copy content of this page