মোঃ সেলিম রেজা তাজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ- অগ্নি নির্বাপণের ক্ষেত্রে কি কি করনীয় আবশ্যকীয়, এ সকল বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করে বেনাপোল বাজারে অবস্থিত সু-প্রসিদ্ধ এবং সকলের পরিচিত ” আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার”।
শনিবার(১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে ঐ মিষ্টান্ন ভান্ডারের সম্মুখে অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মহড়ার সকল দিক- নির্দেশনা উপস্থাপনা করেন ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ ও তার কার্যালয়ের ফায়ার সদস্যবৃন্দ। এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন “আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার” এর স্বত্তাধীকারী- মোঃ আজিজ।
অগ্নি নির্বাপণের ক্ষেত্রে জনসচেতনতার বিষয়াদী সম্পর্কে উপস্থিত উৎসুক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ বলেন, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে অধিকাংশ কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হচ্ছে তিনটি- বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলা থেকে লাগা আগুন এবং সিগারেটের আগুন। যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তার ৭২ শতাংশই ঘটে এই তিনটি কারণে। কিন্তু এই কারণগুলো এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সাধারণ মানুষজন কতটা জানেন?
চুলার আশপাশে অনেকেই শুকনো পদার্থ, কাগজ, কাপড় বা অন্যান্য দাহ্য পদার্থ রাখেন। শিশুদের হাতের নাগালে গ্যাসের চুলা ও ম্যাচের কাঠি অনেক সময় বিপদের কারণ হতে পারে।
রতন কুমার দেবনাথ আরও বলেন,(১) শুরুতেই আগুন নিভানোর চেষ্টা করুন। (২)আগুন লাগলে বিলম্ব না করে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনে সংবাদ দিন। (৩) বহণযোগ্য অগ্নিনির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করুন।(৪) বৈদ্যুতিক লাইনে/যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরলে পানি ব্যবহার করবেন না।(৫) তৈল জাতীয় পদার্থের আগুনে পানি ব্যবহার করা যাবে না।(৬) গায়ে বা পরনের কাপড়ে আগুন ধরলে মাটিতে গড়াগড়ি করুন। এ সময় তিনি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এক্সটিংগুইসার বোতল ব্যবহারের নিয়মাগুলি জনসাধারণকে দেখিয়ে দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে “আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার” এর স্বত্তাধীকারী মোঃ আজিজ বলেন, অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে করনীয় কি? জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আমার মিষ্টান্ন ভান্ডারের পক্ষ থেকে আজকের এই কর্মসুচি গ্রহণ। আমি আশা করি,অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে আমার এই ছোট্ট মহড়ার কর্মসূচি জনসাধারণকে সচেতন করে তুলবে।
Leave a Reply