ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সেটা বাংলাদেশের ইতিহাস। সে ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ হাসিনার ইতিহাস। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেন থেকে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার গঠন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং আজ অবধি আওয়ামী লীগের পথচলা চলছে। অনেক রক্তাক্ত পথ ধাপে ধাপে পাড়ি দিয়ে আজ আওয়ামী লীগ পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলছে। ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতেই ছিল। ৬৬-এর ছয় দফার মোড়কে স্বাধীনতা নামক একদফাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক অনন্য সাধারণ প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তের আরও একটি নক্ষত্রসম ঘটনা। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় যেন পৃথিবীর বুকে নবরূপে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশের এক বিজয় কেতন। ১৯৭১ সালের দ্রুত বয়ে যাওয়া মার্চের ঘটনাপ্রবাহ ও তারপর ৭ মার্চে, বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর গর্জন সৃষ্টির ঘটনাপঞ্জি যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই বীরত্বকাব্য। অবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
You cannot copy content of this page