#ডিজিটাল_মার্কেটিং_কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) হলো ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইন্টারনেট দুনিয়ায় পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনা বা বিজ্ঞাপন দেয়া।
এ পক্রিয়ায় বিশেষ করে ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ডিজিটালমার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক সহ নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজে বেশ কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে। তবে আজকে আমরা এমন ৮ টি মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করবে। যা ব্যবসার ক্ষেত্রে এনে দিতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
২. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)
৩. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
৪. কন্টেন্ট মার্কেটিং
৫. ডিজিটাল প্রদর্শন মার্কেটিং
৬. মোবাইল মার্কেটিং
৭. ইমেইল মার্কেটিং
৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটি
#সোশ্যাল_মিডিয়া_মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) হলো সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে কোন পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রসার ঘটানো।
অর্থাৎ এ মাধ্যমে আলদা আলদা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম (Social Media Platform) গুলোতে সক্রিয়া থাকা মানুষের লক্ষ্য করে ব্যবসা, সার্ভিস, প্রডাক্ট মার্কেটিং বা প্রচার করা হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্লাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter), ইউটুব (YouTube), ইনস্টাগ্রাম (Instagram), লিংকডিন (LinkedIn
#সার্চ_ইঞ্জিন_অপ্টিমাইজেশান
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (Search Engine Optimisation) হচ্ছে কোটি কোটি লিংক, ওয়েবসাইট ও পণ্যের মধ্যে ইন্টারনেটে সার্চ করলে যেন আপনারটি সবার আগে মানুষের সামনে চলে আসে এটিই মুলত সার্চ ইঞ্জিন (SEO) কাজ।
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি করা হয়েছে খুব সহজে তথ্য খোঁজে পাওয়ার জন্য। গুগল (google), ইয়াহু (Yahho), বিং (bing) ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে কোন শব্দ সার্চ করলে দেখবেন হাজার হাজার শব্দ ও ওয়েব সাইড চলে আসছে।
এর মধ্যে সবার প্রথমে যে সাইজগুলো আসে সেগুলোই মানুষ ভিজিট করে থাকে। তাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ওয়েব সাইটকে প্রথম সারিতে রাখার কাজ করা হয়ে থাকে৷ অন পেজ ও অফ পেজ এ দু’ধরনের অপটিমাইজেশন এর কাজ করা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা হয়, ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা, তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেব
#সার্চ_ইঞ্জিন_মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( Search Engine Marketing) হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েব সাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতিকে বুঝায়।
এ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক জেনারেট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংএ ‘পেইড ও অর্গানিক’ এ দু’ধরনের মাকেটিং করা হয়ে থাকে। অর্গানিক মার্কেটিং কাজ করতে কোন প্রকার অর্থ খরচ করতে হয়না। সাধারনত কিছু এসইও কাজ করে গুগলে র্যাংক করানো বা সার্চ রেজাল্ট পেইজে আসা যায়৷
অন্যদিকে পেইড মেথডে কাজ করতে অর্থ খরচ করতে হয়। অর্গানিক নিয়মে র্যাঙ্ক করতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এতদিন অপেক্ষা করতে চায় না, তাই তারা পেইড এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে র্যাঙ্ক করি
#কন্টেন্ট_মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) মূলত কন্টেন্টকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সমূহের উপকারিতা, ব্যবহার উপযোগিতা, কোন তথ্যবহুল বিষয়, কিংবা কোন মজাদার অভিজ্ঞতার কথা যে মাধ্যমে তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্সের কাছে শেয়ার করে থাকে তাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং।
আপনার কন্টেন্ট যতো ভাল হবে, আপনি তত দ্রুত কাস্টমারের নিকট পৌছাতে পারবেন। লিখিত মাধ্যম, অডিও, ভিডিও, ছবি এ ৪ ধরনের কনটেন্ট হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং মূলত এমন একটি পদ্ধতি যা আপনার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে টার্গেট অর্ডিয়েন্স বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স, আপনার ফলোয়ার আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট গিয়ে আপনার কন্টেন্ট দেখার সুযোগ হবে।
অনেক সময় দেখবেন নতুন কোন ফোনের বিস্তারিত ফিচার কিন্তু আপনি বিভিন্ন ব্লগ বা ভিডিও কিংবা ফেসবুকের পোস্টের মাধ্যমে জেনে, কেনার প্রতি আগ্রহী হন। সাধারণত এটাই কন্টেন্ট মার্কেটিং।
#ডিজিটাল_প্রদর্শন_মার্কেটিং
ডিজিটাল প্রদর্শন মার্কেটিং (Digital Display Marketing) হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যানার, স্লাইড শো, ছবি ও ভিডিও আকারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা। ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম।
#মোবাইল_মার্কেটিং
মোবাইল মার্কেটিং (Mobile marketing) হচ্ছে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে টার্গেট ক্রেতা নির্ধারণ করে পণ্য ও সেবার প্রচার করা হয়।
মোবাইল মার্কেটিং এ SMS (টেক্সট মেসেজিং), MMS (মাল্টি মিডিয়া মেসেজিং) এ দু’ধরনের পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।
#ইমেইল_মার্কেটিং
ই-মেইল ব্যবহার করে কমার্সিয়াল মেসেজ প্রেরণের মাধ্যেমে সেলস জেনারেট করার প্রকৃয়াকে বলা হয় ই-মেইল (E-Mail Marketing) মার্কেটিং।
ই-মেইল ব্যবহার করে কুব দ্রুত মার্কেটিং করা যায়৷ কারণ তা সরাসরি গ্রাহকের ইনবক্সে যায়৷ এছাড়া এখানে ইন্টারনেট ছাড়া অন্য তেমন কোন খরচ নেই
#অ্যাফিলিয়েট_মার্কেটিং
অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের বিনিময়ে প্রোমোট ও বিক্রির প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একজন প্রোডাক্ট এর উৎপাদনকারী প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরী করেন।
এরপর তিনি তার প্রোডাক্ট প্রোমোট করার উদ্দেশ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে ইউনিক লিংক প্রদান করে। সে লিংক ব্যবহার করে প্রতি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার থেকে আসা সেলকে খুব সহজেই গণনা করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে যখন কোনো ক্রেতা কোনো প্রোডাক্ট ক্রয় করেন, তখন ব্রাউজারে কুকি’র মাধ্যমে ডাটা সংরক্ষিত হয়। এই কুকি সেলারকে অ্যাফিলিয়েট সেল সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। কুকি থেকে প্রাপ্ত ডাটা অনুসারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের প্রাপ্ত কমিশন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে বুঝিয়ে দেয়৷ ।
–শামীম শিকদার
ডিজিটাল মার্কেটার ও সংবাদকর্মী
Leave a Reply