রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ৭বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি তখনকার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের অনুমোধনক্রমে গঠন করা হয়েছে। এরপর সাহাদাত হোসেন শরীফ ও জিয়াউল করিম নিশান জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে আসেন। এই দুজনের স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের পেডে গত ৭/১১/২০১৯ তারিখ সম্মেলনের ডাক দিলেও হয়নি রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। এর পর সাহাদাত হোসেন শরিফ ও জিয়াউল করিম নিশানের কমিটি ভেঙ্গে পুনরায় জেলায় নতুনভাবে সাইফুল ইসলাম রকিকে সভাপতি ও সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে (৩১ জুলাই) কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি দেওয়া হয়েছে।এনিয়ে পরপর জেলার দুটি কমিটি ভেঙ্গে গেলেও রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙ্গার যেন কোন নাম নেই। বছরকে বছর চলছে এভাবেই।
এদিকে উপজেলা থেকে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী অনেক প্রার্থীর নামই শোনা যায়। কিন্তু নতুন করে এদের মধ্যে তানভীর হাসান রবীন মালের নাম শোনা যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে। এনিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে তৃণমূলে।
জানা যায়, রবীন মাল সাবেক ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন,করেছেন বিএনপি দলীয় ব্যানার, পিষ্টুন সহ তাদের প্রচারনা।পরে সময়ের বিবর্তনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার বড় ভাই রাহুল মাল সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার একান্ত সহযোগী ছিল। এবং কঠোর বিএনপি করতো। এদিকে তার আপন জ্যাঠাতো ভাই কাউছার মাল লক্ষ্মীপুর জেলা যুব দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
উপজেলার কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জানান, যারা ত্যাগ স্বীকার করে এবং প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে ছাত্রলীগ করেছে এবং যারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, যাদের দলের প্রতি শ্রম আছে তারা যেন শীর্ষ নেতৃত্বে আসে। আশাকরি সামনে জেলা ছাত্রলীগ বিবেচনা করে ভালো, সৎ, যোগ্য, ত্যাগী ছাত্রদেরকেই ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদে আনবে। আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।
এবিষয়ে জানতে রবিন মালের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply