নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব পোয়েটস্ ক্লাব নিউইয়র্ক সিটির কো-অর্ডিনেটর ও ইন্টারন্যাশনাল অথোর ফোরাম নিউইয়র্ক সিটি কো-অর্ডিনেটর। বাংলাদেশ-ভারত সংস্কৃতি মৈত্রী ফ্রন্ট এর যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব ( USA) এর মহাসচিব, সিলেট তথ্যানুসন্ধানের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, লড়াই-সংগ্রাম, অর্জন-উন্নয়নের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জনগণের প্রত্যাশা ও দাবির বিষয়টি মাথায় রেখে জনতার অধিকার রক্ষায় বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে কটি দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার মধ্যে অন্যতম। হাজার বছরের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা বাঙালি মানসের সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনা মাথায় রেখে এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সব ধর্ম-বর্ণের জনগণের প্রিয় একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার আগে বা পরে যে সময়ই ধরা হোক না কেন, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন বলে বিবেচিত। একদিকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক, অন্যদিকে সাধারণ জনগণের একটি বড় অংশের কাছে আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার কান্ডারি হিসেবে পরিচিত।
আওয়ামী লীগের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা দেশে সক্রিয় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় বেশি। আশা-নিরাশার দোলাচলে থাকা মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগই শেষ পর্যন্ত হতাশার মধ্যে আশার আলো জাগাতে পারে। সে কারণে দলটিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও বেশি। দলটির নেতৃত্ব ও কর্মকান্ড নিয়ে গবেষণা এবং পর্যালোচনা বেশি। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক জনপ্রিয় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে সমীহ করে রাজনৈতিক মহলের সবাই। সে কারণে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের দিকে জনগণের নজর অন্যান্য অনেক দলের চেয়ে বেশি থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলে থাকেন, 'আওয়ামী লীগই পারে, আওয়ামী লীগই পারবে', তেমনি জনগণও কমবেশি তাই মনে করে।
You cannot copy content of this page