সাইদুল ইসলাম আবির,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ডাঃ ইসমে আজম জিকো একজন সফল, পরিশ্রমী তরুণ চিকিৎসক। মেধা, মননশীলতা, আধুনিক মানের চিকিৎসা সেবা, জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে একজন সৎ ও সফল ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি আর যশ যেন ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাছে-কানাছে।
বিশেষ করে উত্তর বঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে বেশ সুপরিচিত তিনি।
একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে সততা আর নিষ্ঠার সাথে আত্মনিয়োগ করেছেন নিজেকে। মানবসেবা যেমন একজন চিকিৎসকের মূল লক্ষ্য আর এরই প্রতিফলন ঘটিয়ে যেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবায় হয়ে উঠেছেন একজন নিবেদিত প্রাণ।
জাতীয় দুর্যোগময়ক্ষণে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি আছে জেনেও নিজের মাঝে নেই কোন ভয়, নেই কোন শংশয়ের বালাই,নিজের জীবনের মায়া মমতা ত্যাগ করে মানবতার সেবায় তিনি নিজেকে করেছেন উৎসর্গ।
সে কারণে দিনকে দিন তার কাছে যাওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, করোনার ঝুঁকিতেও তিনি পিছপা হননি, বর্তমানেও তার সেবা দেওয়ার পরিমাণ আরো বাড়ছে।
ডাঃ ইসমে আজম জিকোর নিকট চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা ও রোগ নিরাময়ে সুফল পাওয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন সর্ব মহলে।
দেশে কিছু কিছু ডাক্তারদের ভিজিট দৌরাত্ম্য থাকলেও ব্যতিক্রমও আছে তার কাছে । গরিব ও মধ্যবিত্তদের অল্প ভিজিটে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন তিনি। অনেক সময় বিনা পয়সায় সেবা দেন চিকিৎসক ইসমে আজম জিকো।
চিকিৎসা সেবায় হতদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষদের নাম মাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
কথা হয় ডাঃ ইসমে আজম জিকোর সাথে তিনি বলেন,কিভাবে দেশ ও দশের সেবা করা যায়। আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেডিক্যালে লেখাপড়ার শেষ করি। তিনি আরো বলেন,আমি সব ধরনের রোগীর সেবা দিয়ে থাকি। ধনী, মধ্যবিত্ত, গরিব সব ধরনের রোগী আমার কাছে আসেন। গরিব রোগীদের চিকিৎসায় আমি কুন্ঠিত হই না। পয়সার অভাবে কেউ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত থাকবে, আমি এ নীতিতে বিশ্বাস করি না। সব ধরনের রোগীকে সমান যত্ন ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি।আর্থিকক্ষমতা খুব সীমিত এমন রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। আমি সব সময় একজন সাধারণ রোগীর সাথে পারিবারিক সদস্যদের মতো আচরণে রোগের বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই এতে একজন রোগীর সমস্যা টা জানতে সহজ হয়।
সেবা ভোগীরা বলছেন করোনাকালীন সংকটময় মূহুর্তে অনেক চিকিৎসক তেমন চিকিৎসা সেবা দিতে না চাইলেও ডাঃ ইসমে আজম জিকো করোনার যুদ্ধে সংগ্রামী যোদ্ধা হিসেবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দিছেলেন।
সেবা নিতে আসা সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এলাকার মো. রোজিন পলাশ বলেন, সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র প্রদানে অল্প কয়েক দিনে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
উল্লেখঃ ডাঃ ইসমে আজম জিকো সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল এলাকার সন্তান।
তিনি এমবিবিএস(ডিএমসি) বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমআরসিএস(লন্ডন),এমএস নিউরোসার্জারী,মেম্বর,এওস্পাইন এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক রেজিস্টার,নিউরোসার্জারী।নিউরোস্পাইন ও নিউরোসার্জারী বিশেষজ্ঞ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
Leave a Reply