মোঃ-সেলিম রেজা তাজ, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হলো মহিষের একটি বড় চালান। রোববার সন্ধ্যায় ৫টি ভারতীয় ট্রাকে করে ছোট বড় ৬৪ টি মহিষ আসে বেনাপোল বন্দরে। এই মহিষগুলো আসে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। মহিষগুলো ভারতের হরিয়ানা থেকে আমদানি করা হয়েছে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মহিষগুলো বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প খামারে যাবে। দুধ উৎপাদনের জন্য ৩২টি মহিষ ও ৩২টি মহিষের বাছুর (প্রজনন) আমদানির জন্য দরপত্র দিলে ঢাকার আমদানিকারক জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লি. এই মহিষগুলো ভারত থেকে আমদানি করে। ভারতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো নোরায়াল ডেইরী ফার্ম।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল জানান, মহিষগুলো বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প খামারে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মহিষগুলো ভালো পাওয়া গেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সরকারি শুল্ক আদায় করে যথাযথভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ এনাম হোসেন মহিষ আমদানির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহিষগুলো বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে খালাস নিতে মুক্তি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট রোববার বিকেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। যার বিল অব এন্ট্রি নং-সি-১৩২২৬। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুল্কায়ন করার পর খালাস দেওয়া হবে। মহিষের আমদানি মূল্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ৬১ হাজার ৮শ ৪৪ মার্কিন ডলার। এই মহিষের কোনও আমদানি শুল্ক নেই। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ছাড়পত্র নিতে হবে।
উল্লেখ্য এর আগে ২০১৮ সালের ৯ মে বেনাপোল দিয়ে ১০০টি মহিষ আমদানি করা হয়। সিরাজগজ্ঞের মিল্কভিটা কোম্পানী দুধ উৎপাদনের জন্য ৫০টি মহিষ ও ৫০টি মহিষের বাছুর (প্রজনন) ভারত থেকে আমদানি করেছিল।
Leave a Reply