কবি নীল
কোয়াটার দিবেনা করেছো নাটক, সাজিয়েছ গদ্য
উর্দ্ধতনের ফোন পেয়ে, পরিশেষে হয়েছো বাধ্য।
সরলতা-সততায় পুঁজি করে, চাওয়া আমার অল্প
অথচ আমার নামে হেড অফিসে- বলেছো আষাঢ়ে গল্প !
আমার মতো বাধ্যানুগত পেয়ে- তাও ভরেনা মন;
ঈর্ষা-সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ শুনেছি অসাধুজন।
অনিচ্ছাকৃত হয়েছি হেনস্থা, হয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত
দিনের শেষে জানলাম সব-ই নাটক, শুধু আমিই অপদস্ত।
পারস্পরিক অসহযোগিতায় বিরুদ্ধ কর্মপরিবেশ
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিপরীতে প্রতিকূলতার আবেশ।
কপালে জোটে অসম্মান-অবহেলা
১৪ জানুয়ারি হতে পরাধীন আমি কাটছে কালবেলা।
কবে শেষ এ শ্রান্ত সফর-
কবে ফুরাবে দীঘল রাত্রি-দিন;
কখন উঠবে সোনালী সূর্য্য আসবে এক সুদিন।
ওরে আমার ডিপার্টমেন্ট রাবণ, ওরে অভিনেতা
খুলবে ঠিকই শিকল বেড়ি, পাবো স্বাধীনতা।
লোক দেখোনা – জন দেখোনা
প্রজেক্ট হেডকে দাও গালি,
এডমিনকে নিয়ে সব হাস্যরস করে, দেয় হাততালি।
সব ঝামেলা অ্যাডমিন অফিসার সামলাও
দিনরাত কাজ করে মর;
সুযোগ সুবিধা পাবার বেলা আছে তো পে-রোল-
তোমায় বাবা চিনিনা; তুমি এখন ফুটো।
রিপোর্টিং চীফ বলার পরও ফোকাল নিয়ে টানাটানি
দরজাটা বন্ধ করে তোমার-পেরোলের কিসের এতো কানাকানি ?
স্পিনিং নাকি বিলো স্ট্যান্ডার্ড, তাই পর- ক্যাজুয়াল, গেঞ্জি
রোষ্টারটাও পেরোল কে দিয়েছো মানুষ কাটে ভেংচি।
কাজ ফাঁকি দিয়ে গীবত সর্বদা, কথার ফুলঝুড়ি
পে-রোল তার পরাণের আধখান, অ্যাডমিন ঝালমুড়ি।
অপরাধ সব জমে আছে দেখোনা তুমি চোখে,
দেখ একদিন ছুটবো আমি আলোকিত রথে।
সবজান্তা তুমি আমায় বোঝোনা, অহমিকার ঘোরে মত্ত!
পেশাদারিত্বের ইনজাস্টিজে জ্বলে-পুড়ে হয়েছি শক্ত।
অ্যাডমিন অফিসারের কাছে শুধু প্রাপ্য সম্মানটুকুই আসল,
তাই আমি বলি- অভিভাবক তো উপরে খোদা-
আর প্রাণপ্রিয় গ্ৰুপে শ্রদ্ধাভাজন হেডের সাথে আছে গুরু মন্ডল।।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply