স্টাফ রিপোর্টারঃ
আরিফিন মুন আর দশটা শিশু যেখানে খেলাধুলা, কার্টুন-গেমস নিয়েই বেশি ব্যস্ত, সেখানে আরিফিন মুনের আগ্রহের সিংহভাগ জুড়ে শেখা এবং শেখানো। পাশাপাশি ধর্মীয় ও সামাজিক সচেতনামূলক ভিডিও তৈরি করে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়াচ্ছে এই শিশু। তবে এর সূচনা হয়েছিল নিতান্তই সাধারণভাবে।
অন্যান্য দিনের মতো বাবা আলামিন সরকার এর সঙ্গে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বালসবাড়ি বাজার দিয়ে যাচ্ছিল মুন। প্রচুর নোংরা, ময়লা-আবর্জনা আর বর্জ্য পদার্থের ছড়াছড়ি ছিল স্থানটি জুড়ে। চলাচল করার মতো অবস্থা ছিলো না সেখানে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই ‘সিরিয়াস’ মুনের কাছে ব্যাপারটি স্বাভাবিক ঠেকল না। তার মনে হলো, ‘এখানে তো এসব থাকা উচিত নয়। এরকম নোংরাই-বা কেন? প্রতিদিন তো এখানে হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে তাদের তো নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হতে হয় এই রাস্তায় চলাচল করতে।
ছোট্ট আরিফিন মুনের এই কৌতুহল ও প্রশ্নবাণ স্পর্শ করল তার বাবাকে। পুরো বিষয়টা তিনি মোবাইলে ধারণ করলেন। এরপর সংবাদটি শিশু সাংবাদিকতার বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের প্রচার করে। মুহূর্তে প্রচার হয় সেই ভিডিও। এমনকি স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীদের চোখে পড়ে সেই নিউজটি। কিছুদিনের পর যখন মুন সেখানে যায় তখন তিনি দেখতে পান পরিচ্ছন্নতাকর্মীর একটি দল জায়গাটা পরিষ্কার করে দিয়েছে। এভাবে সমাজের একজন সচেতন মানুষ তথা সমাজকর্মী হিসেবে উত্থান ঘটে মুনের।
যেকোনো কিছু নিজের মতো করে উপস্থাপন করতে ভালোবাসে আরিফিন মুন।
আরিফিন মুন বর্তমানে তিনি কাজ শিশু সাংবাদিকতার বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের সাথে। সেখানে শিশু সাংবাদিক হিসেবে লেখালেখি, ভিডিও রিপোর্টিং-এর সাথে যুক্ত আছে। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জের তালগাছি আবু ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। লেখালেখির সাথে ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজও নিয়মিত করে থাকে। স্বপ্ন দেখে একজন সাংবাদিক হওয়ার। পাশাপাশি সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিতে চায় সে।
Leave a Reply