বায়েজিদ নাসিম, ঢাকাঃ
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পৌরসভা এলাকার ফয়েজ উল্লাহর বিরুদ্ধে ফ্রান্স প্রবাসী হাবিব খান ইসমাইলের সম্পওি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চলছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, কচুয়া উপজেলার পৌরসভা এলাকার হোসেনপুরের ফয়েজ উল্লাহ (৫৮) পিতামৃত- আঃ মান্নান ভুয়া পাওয়ায় অব অ্যাটর্নি তৈরি করে তার সম্পওি আত্মসাৎ করার জন্য একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করে। এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে উক্ত সম্পওি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাঁয়তারা শুরু করে। হাবিব খান ইসমাইলের নামে মামলা রুজু করেন এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সিকার হন। এখনো একটি মামলা চলছে। এ বিষয়ে হাবিব খান প্রশাসন দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে প্রবাসীদের সম্পওি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিমুলে মালিক হতে হলে সরকারের কিছু নিয়ম রয়েছে। এসব নিয়মের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে--প্রবাসী যে বা যিনি তাঁর সম্পওির বিদেশ থেকে কোনো ব্যক্তি বা স্বজন কে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে চান, তাহলে আগে তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করে এবং দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা কে অবহিত করার পর তিনি এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে পারবেন।
অথচ ফয়েজ উল্লাহকে এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির কোনো ধরনের কোনো কিছু দায়িত্ব না দেওয়া হলেও তিনি তার জামতা পরিচয় দিয়ে মজিবুর রহমান নামে নিজেই একটি জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করে নেন। যাহা হাবিব খানের ভাইয়ের জম্ম সনদ এবং পাসপোর্ট, আইডি কোনোটির সাথে মিল নেই ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সম্পওিগত বিষয়ে কোনো ব্যক্তিকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দায়িত্ব নিতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের মাধ্যমে তাঁকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু ফয়েজ উল্লাহ নিজেই নিজের প্রতারণার জালে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি একজন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ১০০ শত টাকার ৪ টি স্ট্যাম্প বা চারশত টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করেছেন সেটি দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় নয় বলে জানিয়েছেন স্হানীয় সাবরেজিস্টার অফিস। তাই এই প্রতারক ফয়েজ উল্লাহর হাত থেকে সম্পত্তি রক্ষাসহ প্রবাসী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ফ্রান্স প্রবাসী হাবিব খান ইসমাইল।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
You cannot copy content of this page