শনিবার সকালে আখানগর ইউনিয়নের মধ্য ঝাড়গাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছয়জনই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানা যায়, আখানগর ইউনিয়নের মধ্য ঝাড়গাঁও গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ১৩ শতক জমিতে চাষাবাদ করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য বিপ্লব সহ তার পরিবার। এই ১৩ শতক জমি দীর্ঘদিন আগে প্রতিবেশি ফজলুর রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে আধিয়ার হিসেবে চাষাবাদ করে আসছিলেন ইউপি সদস্য বিপ্লব। সম্প্রতি ফজলুর রহমান ওই ১৩ শতক জমিতে এবছর ধান রোপন করার জন্য হালচাষ করেন। এরপর শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন নিয়ে ফজলুর রহমান ১৩ শতক জমিতে ধান রোপন শুরু করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব ও তার পরিবারের লোকজন এসে ধান চাষ করতে বাঁধা দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনাও ঘটে।
মারপিটে ফজলুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও দুই ছেলে আহত হয়। অপরদিকে ইউপি সদস্য বিপ্লবের মা ও দুই ভাইও আহত হয়েছেন।
পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য বিপ্লবের পরিবারকে ১৩ শতক জমি চাষাবাদ করার জন্য দেয়া হয়। এখন আমরা তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিতে গেলে তারা টাকা না নিয়ে জমিটি তাদের দাবি করছে। অথচ আমাদের কাছে জমির মালিকানার সকল ধরনের কাগজ রয়েছে। বিপ্লব ইউপি সদস্য ও কৃষক লীগের নেতা হওয়ায় সে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমরা আমাদের জমিটি ফেরত চাই।
সেই সাথে আমাদের ১৩ শতক জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে ইউপি সদস্য বিপ্লব ও তার পরিবারের লোকজন আমাদেরকে মারপিট করে আহত করেছে বলে অভিযোগ ফজলুর রহমানের।
এদিকে ইউপি সদস্য বিপ্লব বলেন, ১৩ শতক জমি আমাদের কাছে বিক্রি করবে বলে ফজলুর রহমান ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল। টাকা নেওয়ার পর থেকে ফজলুর রহমান টালবাহানা করতে থাকে। এখন তারা জোরপূর্বক ওই জমিতে চাষাবাদ করতে আসে। আমরা তাদের বাঁধা দিলে তারা আমাদের পরিবারের লোকজনকে মারপিট করেছে।
রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।