রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ এনে অপসারণ চেয়ে মানব বন্ধন ও মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মিছিল শেষে স্কুলের মারামারির ঘটনাও
বুধবার (২৩ আগষ্ট) দুপুর ১২ টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে মিছিল ও অবরোধ করেন এলাকাবাসি।
এসময় কেশরহাট বাজারে মুহুর্তের মধ্যে যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আন্দোলনকারিরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যায় এবং প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে অফিস কক্ষে রেখে তালা মেরে দেয়। পরে হলিদাগাছি গ্রামের মৃত মুকবল সোনারের ছেলে মহসিন এসে আন্দোলনকারিদের উপর চড়াও আচরণ করলে তাকে মারধোরের ঘটনা ঘটে এবং আন্দোলনকারীরা মহসিন সহ তার সাথে থাকা সবাইকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেয়। পরে মিঠু প্রধান শিক্ষকের রুমে গিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে ও নিজের ছেলেকে গোপনে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান। এমন অবস্থায় মহসিনসহ কয়েকজন এসে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই মিঠুকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে, পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এঘটনায় মিঠুর চাচা শরিফুলসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ আর বাকি হামলা কারিরা ঘটনা স্থল হতে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদেরকেও আটকের চেষ্টা করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা মিঠুকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে মিঠুর শারিরিক অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপোষের চেষ্টা চলছে। এখন থানায় আছি কথা বলতে পারছি না। কিন্তু পরে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয় এর বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী প্রাং বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয় পক্ষ থানাতে বসে নিষ্পত্তি করেছি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পক্ষ অথবা মিঠু পক্ষ আর কারো কোন অভিযোগ নেই।
জানতে চাইলে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়া মাত্র পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply