নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর মোহনপুরে মাদকসহ কিশোর গ্যাং লিডার রনি ও সহযোগী আলামিনকে আটক আটক করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় মাদক আইনে মামলা রজু হয়েছে। থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে মোহনপুর থানা ওসি হরিদাস মন্ডলের নির্দেশনায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে বের হয় এসআই আবু জাহেদ শেখ ও এএসআই জোবায়ের আলমসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ধুরইল ইউপির ধুরইল বাজারে কয়েকজন যুবক মাদক কেনা বেচা করছে। এসময় এসআই আবু জাহেদ শেখ ওসি’কে বিষয়টি অবহিত পূর্বক ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠের পশ্চিম পাশে সরকারী জমিতে নির্মিত একটি দোকানের ভেতর অভিযান পরিচালনা করে ১৫ গ্রাম হেরোইন সহ কিশোর গ্যাং লিডার রনি ও ১০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তার সহযোগী আলামিনকে হাতে নাতে আটক করে।আটককৃত রনি হোসেন (২৯) ধুরইল তালুকদার পাড়া ডাব ব্যবসায়ী এরশাদ আলীর ছেলে। আলামিন (২৩) ধুরইল বাজার হাট পাড়া গ্রামের পুরাতন মাদক ব্যবসায়ী আবজালের ছেলে। পুলিশ রনিকে আটকের পর বৃহত্তর ধুরইল এলাকার জনগনের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ধুরইল এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি জানান, ধুরইল বাজারে জোর করে চাঁদা তোলা, মাদক ব্যবসা করা, টাকা নিয়ে কন্টাকে মানুষকে মারধোর, চুরি, ছিনতাই, সরকারী রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি ও ফার্নিচার বানানো, পুলিশকে মারধোরসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি স্থানীয় প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের ছত্র ছায়ায় থাকায় এলাকায় রনি ও তার দলবলের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। এরআগে রনি ও তার বাহিনী ধুরইল এলাকার খালেক, পোস্ট মাস্টার সানোয়ার, সাব্বির, এনামুল, ফিজুর, মোবাইল মেকার তরিকুলকে বিনা দোষে ব্যাপক মারধোর সহ শারিরীকভাবে জখম করে। তারা অনেকদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে থানায় মামলা করার সাহস পায়নি। রনিকে পুলিশ আটকের পর তাকে বাঁচাতে স্থানীয় নেতারা অনেক চেষ্টা, তদবির করলেও শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি হরিদাস মন্ডল বলেন, মাদক ব্যবসায়ী রনি ও তার সহযোগী আলামিনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রনি হোসেনের বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।
Leave a Reply