রাজশাহী ব্যুরো : পবার বড়গাছি হাটে সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ ও বরাদ্দে উচ্চ আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও পবার বড়গাছি হাটের দোকানপাট নির্মাণ ও বরাদ্দ কেনো অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এ হাটে ইজারা নেয়া মহিলা বিপনি কেন্দ্র নামে দোকানঘর ইজারা নেয়া এক নারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মিসেস
শাহলা শরাতাত নেজাদ শুনু গত ২৮ আগস্ট এ নির্দেশনা জারি করেন।
জানা যায়, এ হাটে মহিলা বিপনি কেন্দ্রের ইজারাদার সালেহা বেগম দোকানঘরটি না ভাঙার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন। মূলত বড়গাছি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সাগর ইজারা চুক্তি ভঙ্গ করে এই দোকানঘরটি ভেঙে ফেলছে
বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এমদাদ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম না মেনে, হাটে স্থায়ী পাকা দোকানঘর নির্মাণ, বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। স্বজন প্রীতির মাধ্যমে হাটের জায়গা নিয়ে বাণিজ্য করছেন বাজার কমিটির লোকজন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এসব অনিয়মে ইএনও ও এসিল্যান্ড সহ সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি I বরং সরকারি এসব কর্মকর্তারা সঠিক নিয়মে বড়গাছি হাটে দোকানপাট বরাদ্দ হচ্ছে বলে বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতির পক্ষে সাফাই গান।
সরকারি নিয়ম বর্হিভূতভাবে হাট বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতি এমদাদ ও সেক্রেটারি আফজাল। এমদাদ পবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার ছেলে বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাগরের প্রভাবে সরকারি খাস জায়গায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, হাটের বরাদ্দকৃত জায়গা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply