ঠাকুরগাঁও: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ ওপথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁও-২(বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগের (শিখর-রাসেল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম শামীম ফেরদৌস টগর।
গতকাল (শনিবার ১৬সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি।
জনসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। চার যুগ ধরে এ আসনের ২টি উপজেলায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। সাধারন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রার্থনার সাথে সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক, সভা ও সুধি সমাবেশসহ দফায় দফায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছেন।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও- ২আসনে শুধু আওয়ামীলীগ থেকেই বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ দবিরুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ একে এম শামীম ফেরদৌস টগরসহ দলের ৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। আর এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রার্থীর ভীড়ে সংখ্যা ৭জন হলেও হরিপুর উপজেলা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন টগর।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি, হরিপুর উপজেলার ৬টি ও রানীশংকৈল উপজেলার ২টিসহ ১৬টি ইউনিয়নকে নিয়ে আসনটি গঠিত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এ দুই আসনে থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ অন্য দলের যিনিই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অধিবাসী। এ কারণে হরিপুর উপজেলা সুষম-উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা বৈষম্যের শিকার। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আঞ্চলিকতার ঐক্যের ডাক দিয়ে দীর্ঘ চার যুগ ধরে দলের দায়িত্ব পালনের পর থেকেই মাঠ ধরে রেখেছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
তিনি শাসক দলের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করে আসলেও দলীয় কোন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেননি। দল ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকর এমন কোন অভিযোগের দাগও পড়েনি তার শরীরে। তিনি দলের জন্য দিয়েই গেছেন। বুকে আগলে রেখেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে। মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার দান অনুদান। বিপদ-আপদে সাধারন মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন। একারণে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে দুই আসনের হাট-বাজার, গ্রামে গঞ্জে, দলীয় নেতা কর্মীদের দেয়া বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একেএম শামীম ফেরদৌস টগর ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
জনসংযোগ ও পথসভায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, শামীম ফেরদৌস টগর এমপি প্রার্থী হিসেবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে পরিচিত একজন মুখ। তিনি এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ২আসনে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় তিনি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য প্রার্থী। যে কারণে আমরা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের কাছে দাবি করছি ঠাকুরগাঁও ২আসনে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
এবিষয়ে শামীম ফেরদৌস টগর বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র উপজেলা হরিপুর যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের কেউ এমপি হয়নি। ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরত্ব। হরিপুরবাসীর আশা উন্নয়নের স্বার্থে নেত্রী এবার হরিপুরে এমপি দিবে। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রেল যোগাযোগ, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের এ উন্নয়ন ২০৪১ সাল পর্যন্ত চলবে। হরিপুরে কিছু মৌলিক সমস্যা রয়েছে, হরিপুরবাসী অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত, এখানে ট্রেন যোগাযোগ নেই, কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, শিল্পকল কারখানা নেই। আমি যদি কাজ করার সুযোগ পাই চেষ্টা করব হরিপুরে স্থলবন্দর করা যায় কিনা। কাজের সুযোগ পেলে সুষম বন্টণের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও ২আসনের যে অসম্পূর্ণ কাজগুলো আছে তা আমি করব।
তিনি আরো বলেন, হরিপুরে ডিগ্রী কলেজ কয়েকটা রয়েছে। কিন্তু অনার্সের কোন কোর্স নেই। অনার্স পড়তে হলে ঠাকুরগাঁও জেলায় বা দিনাজপুর, রংপুর যেতে হয়। আমাদের সরকার শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষানুরাগী শিক্ষাখাতে সরকারের নেক দৃষ্টি আছে। সুযোগ পেলে শিক্ষা সেক্টরকে আরো উন্নত করব। আমি জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। আমি আশাবাদী আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হবো।
Leave a Reply