সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর গড়েয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী এ সংগঠন পাবে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
দীর্ঘদিন পর সম্মেলন নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নতুন নেতৃত্বের আশায় দিন গুণছেন কর্মীরা। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যুবলীগের নতুন কমিটি সরকার গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী নেতাকর্মীরা।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ: বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৩নং গড়েয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সন্মেলন বিকাল ৪টায় গড়েয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত করার দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন সদর উপজেলা যুবলীগের নেত্রীবৃন্দ।
ইউনিয়ন যুবলীগের সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মো: জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সামুন পারভেজ।
বর্তমান কমিটির ১৩নং গড়েয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে কর্মীবান্ধব নেতা দায়িত্বে আসলে যুবলীগ আরও শক্তিশালী হবে। আশা করি ত্যাগী, ভালো গুনের অধিকারী ব্যক্তিরা নেতৃত্বে আসবে। যুবলীগকে গতিশীল করতে ত্যাগী, মাদক মুক্ত ও শিক্ষিত নেতৃত্ব দেবার গুনাবলি আছে এমন প্রার্থীকে ভোট দিবে তিনারা যেন আগামী দিনে যুবলীগকে আরো শক্তিশালী করতে পারে। সম্মেলন সফল করার জন্য সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আশা করি ২৮ তারিখের সম্মেলন অনেক বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমান কমিটির ১৩নং গড়েয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামুন পারভেজ বলেন, নিয়মিত কমিটি গঠন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও সম্মেলন হলে দলীয় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হন। দীর্ঘদিন পরের এ সম্মেলন ঘিরে আমাদের নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছেন। সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আমি ছাত্রলীগ থেকে এখন পর্যন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত। আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করি যুবলীগের ভোটারগণ আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করবে।
যুবলীগ সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহামুদ বলেন, আমি ছাত্রলীগ থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত। দলের নিবেদিত একজন কর্মী হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে এ পর্যন্ত এসেছি। আমি যুবলীগের নগণ্য কর্মী হিসেবে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। আশা করি যুবলীগের ভোটারগণ আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করবে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, দলের নিবেদিত একজন কর্মী হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে এ পর্যন্ত এসেছি। যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে দায়িত্বে ভার ভোটারগণ আমাকে দিলে আমি যুবলীগকে আরও শক্তিশালী করবো। আমি যুবলীগের নগণ্য কর্মী হিসেবে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দীন বলেন, যারা ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব তারাই পদে আসলে যুবলীগ আরও শক্তিশালী হবে। আমি কর্মী বান্ধব এবং আমি তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের পাশে ছিলাম। ভোটারগণ আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করলে, আশা করি যুবলীগের নতুন কমিটি জেলা যুবলীগের হাতকে অনেক শক্তিশালী করবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মাহিব তানভীর তিষাত বলেন, নিয়মিত কমিটি গঠন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও সম্মেলন হলে দলীয় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হন। দীর্ঘদিন পরের এ সম্মেলন ঘিরে আমাদের নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছেন। এত বড় আয়োজনে অনেক কিছু শিখতেও পারছি আমরা।
এদিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে ২ জন সভাপতি প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ২ জন সদর উপজেলা যুবলীগের দপ্তরে কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতার কাছে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তারা হলেন, সভাপতি প্রার্থী ১। মো: সামুন পারভেজ, ২। মো: আপেল মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী- ১। মোঃ ফারুক হোসেন ২। হেলাল উদ্দীন।
উক্ত সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের চেয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হিসাব-নিকাশ বেশি চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ নিজ নেতার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকে। সমর্থকদের মধ্যে কার নেতা পদ পাবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘুরে-ফিরে আলোচনা একটাই, এবারের সম্মেলনে কারা আসছেন নেতৃত্বে। নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে চায়ের দোকান ও দলীয় কার্যালয়ে চলছে দলে দলে আড্ডা আর আপ্যায়ন।
Leave a Reply