ডেস্ক রিপোর্ট: দোষ ত্রুটি কিংবা সমালোচনা নেই এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা ইতালি আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল নানা অপপ্রচার এবং সমালোচনাকে পিছনে ফেলে ইতালিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯০ সালে ইতালিতে প্রবেশের পর থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি। এক সময় দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। ইতালিতে ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড এবং রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে এক অনন্য ইতিহাস তৈরি করেছেন ইটালি আওয়ামীলীগের এই সাধারণ সম্পাদক। ইতালিতে বাংলাদেশীদের প্রাণের নেতা বাংলাদেশ সমিতি এবং ইতালি আওয়ামী লীগের তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক হেনরি ডি কস্তার সাথে হাসান ইকবাল প্রথমে ইতালি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। পরবর্তীতে তার পদোন্নতি ঘটে। তিনি নির্বাচিত হন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে।
কিন্তু তার একসময়ের রাজনৈতিক গুরু এবং ইতালির সর্বজন স্বীকৃত নেতা ইতালি আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হেনরি ডি কস্তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ওই কাউন্সিলে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শুরু হয় তার রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদের একটিতে কাজ করা। এক্ষেত্রে হাসান ইকবাল সফল হয়েছেন। ইতালির কমপক্ষে ২৩টি প্রদেশে তার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের শাখা কমিটি গঠিত হয়।
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ইতালি আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো হাজী মোঃ ইদ্রিস ফরাজী সভাপতি নির্বাচিত হন। ফরাজীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল সেই থেকে আর থেমে নেই। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইতালি আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হাসান ইকবাল পুনঃনির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ইতালিতে এলে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ পর্যন্ত হাসান ইকবালের পরিচালনায় পাঁচটি নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছেন। এছাড়া হেনরি ডি কস্তার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আপর দুটি নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন ইতালি আওয়ামীলীগের কর্মীবান্ধব এই সাধারণ সম্পাদক।
ভিসা নীতি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে পুরো বিশ্বে যখন বাংলাদেশীদের মধ্যে আলোচনা চলছে, তখন হাসান ইকবাল স্বদেশ বিদেশকে বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতালি আওয়ামীলীগকে সংগটিত করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি বাংলাদেশকে উন্নত শিখরে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার একটি প্রবাস বান্দব সরকার হিসেবে স্বীকৃত। এই সরকারের নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বলেন, দেশকে আরো উন্নত করতে হলে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে হবে এবং বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এজন্য তিনি প্রবাসী সকল বাংলাদেশীর প্রতি অনুরোধ জানান।
Leave a Reply