রাজশাহী ব্যুরো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৭ তম জন্মদিন আজ। জননেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ই.টি.ই) ডিপার্টমেন্টের সহকারি প্রফেসর শ্যাম দত্তের উদ্যোগে খেলাধুলা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
এসময় ই.টি.ই এর শিক্ষার্থীদের সামনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা সাফল্য গাঁথা রাজনৈতিক জীবনি তুলে ধরেন শ্যামদত্ত।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের স্পন্দন আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদীবিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সাল থেকে দেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন। ৭৭ বছরের জীবনে অনেক সংকট, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ সাফল্যের চূড়ায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও লম্বা সময় দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা অনন্য হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে। তার শৈশব কেটেছে চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে দাদা-দাদির কোলেপিঠে। ’৫৪-এর নির্বাচনের পর তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। বর্তমানে তিনি শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। সংগ্রামী জীবনে তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১০ বার তাকে জেল-গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে তিনি ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা এই রুয়েট উন্নয়নের কারিগর। আজ রুয়েটের যে পরিবেশ তোমরা দেখছো, এটা এই নেত্রীর কারনে দেখতে পাচ্ছো। এমন নেতার জন্মদিন পালন করতে পেরে নিজেকে সত্যিই গর্বিত মনে করছি।
এবারও তার অনুপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি উদযাপন করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
You cannot copy content of this page