ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজকের এই দিনে ১৯৭২ সালের এদিন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়টায় যতক্ষণ এই বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর পদস্পর্শ পড়েনি ততক্ষণ বাংলার স্বাধীনতা অপূর্ণই ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর পদস্পর্শ এবং অস্তিত্ববিহীন কল্পনা ছিল অসম্ভব। মূলত পাকিস্তান জেল থেকে মুক্ত হয়ে ফেরত আসবার সময়টায় ছিল নাটকীয় এবং গাম্ভীর্যপূর্ণ। ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর পুরো জাতি অধীর আগ্রহে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির প্রতীক্ষার প্রহর গুণছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এদিন তিনি মুক্তি পেয়ে লন্ডনে পৌঁছেন। ১০ জানুয়ারি নয়াদিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। তার এ প্রত্যাবর্তন ছিল অন্ধকার থেকে আলোয় প্রত্যাবর্তন। বাঙালির স্বপ্ন সারথি’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল, হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল। কিন্তু একাত্তরের রয়ে যাওয়া হায়নাদের হিংস্র থাবায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আমাদের জাতির পিতাকে হারাতে হয় তার পরিবারসহ। তিনি যদি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত না হতেন, তাহলে এখন যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার অনেক আগেই বাংলাদেশ মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুর হয়ে উন্নত দেশে পরিণত হতো। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে যান। সেদিন বেঁচে যাওয়া সেই পরিবারের দুই সদস্যের অগ্রজ সদস্য আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরেও আজ তার কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়নের একেবারে দোরগোড়ায়।
You cannot copy content of this page