ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, ১৯৪৭ এর পরে খুব তাড়াতাড়ি বঙ্গবন্ধু বুঝে গেলেন যে প্রত্যাশা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান আলদা হলো সে প্রত্যাশা আমাদের জন্য কোন প্রাপ্তি বয়ে আনবে না। বাঙালি হিসেবে, বাঙালি সাংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে, অর্থনৈতিক-সামাজিক মুক্তিতে আসলে ১৯৪৭ আমাদের জন্য কোনই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনলো না। এবং এর প্রথম ধাক্কা খেলাম আমরা আমাদের ভাষার উপরে আঘাত দেখে। তারমানে কি, ভাষার সাথে আমাদের বাঙালি একটি অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। এইজন্য ভাষার চেতনাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রথম ধাক্কা হিসেবে ধরে নেই। কারণ ভাষার উপর দিয়ে আঘাতের মাধ্যমেই আমাদের উপর চরম নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই কারণেই একুশের চেতনাকে আমাদের স্বাধীনতার প্রারম্ভিক চেতনা হিসেবে ধরা হয়। এখন এই চেতনার সংকল্পে আমাদের সাম্প্রতিক সকল ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। আমাদের একাত্তরের যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল যুদ্ধে প্রানশক্তি ছিল একুশের চেতনা। এখন এই একুশের চেতনাকে আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ না করতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিক ও দেশের ভেতরে সকল ষড়যন্ত্র রুখতে আমরা ব্যর্থ হবো। কারণ একুশের চেতনা হলো আমাদের পাওয়ার ব্যাংক। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে যেসকল ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা কিন্তু আমরা এখন সবাই জানি। আমরা যদি আমেরিকার কথা চিন্তা করি, সেখানে দল বদল হয়, সরকার বদল হয় কিন্তু সেখানের পররাষ্ট্রনীতির কোন পরিবর্তন হয় না। কারণ কি তারা যে দলের চেতনায় ধারণ করেন না কেন তাদের কাছে তাদের দেশের মূল নীতি, দেশের মানুষ হলো মূল বিষয়। আর আমাদের দেশের রাজনীতি হলো, দেশের মানুষ মরুক, উন্নয়ন দাতাদের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাক, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সব বন্ধ হয়ে যাক তাতে তাদের কোন যায় আসেনা। এইজন্যই তো মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছিলেন যে, পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ রেখে সেই অর্থ দিয়ে করোনা মোকাবিলা করা হোক। কিন্তু তাদের ধারণা নাই যে শেখ হাসিনা একই সাথে দুটি বিষয় মোকাবিলা করতে সক্ষম। এইজন্যই পৃথিবীর অন্যতম ছোট দেশ হয়েও এই করোনাকালে আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি ঠিক রেখে মেগা প্রকল্পগুলো চলমান রেখেছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
You cannot copy content of this page