নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালির রাজনৈতিক, সংস্কৃতির ইতিহাসের উজ্জ্বলতম এই দিন। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ নয়, এটা সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ঠিকানা, স্বাধীনতার দিশা, স্বাধীনতার ঘোষণা তুলে ধরেননি, তিনি কিন্তু সারাবিশ্বের সমগ্র নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি রূপরেখা রেখে গেছেন এই ভাষণের মাধ্যমে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক বার্তা দিয়েছেন ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখার সভাপতি মোল্লা সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক নওয়াব সৌজন্য।
বার্তায় তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দেশের আপামর জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ জনতার সামনে ঘোষণা করেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর এ ঘোষণার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গতিপথ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর কাছে বার্তা পৌঁছে দেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করে নিয়েছে এবং ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এখন শুধু বাঙালির নয়, সারা বিশ্বের তথা মানব সভ্যতার অহংকার। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি, উদযাপন করেছি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেরও পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ভাষণটি আজও আমাদের জাতীয় জীবনের অনুপ্রেরণা।
Leave a Reply