শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী: দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজশাহীর তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারি ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনে পুঠিয়ায় আব্দুস সামাদ মোল্লা, বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও দূর্গাপুরে শরিফুজ্জামান শরিফ বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পুঠিয়া উপজেলায় আব্দুস সামাদ মোল্লা আনারস প্রতীকে ২৬ হাজার ৬ শত ৬৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসানুল হক মাসুদ ঘোড়া প্রতীকে ২৩ হাজার ৬ শত ৭৯ ভোট পেয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মতিন মুকুল ২৮ হাজার ১ শত ৭৬ ভোট পেয়ে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মৌসুমী রহমান বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকে ২৬ হাজার ৯ শত ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
দূর্গাপুরে শফিফুজ্জামান শরিফ মোটর সাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ১ শত ১৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৭৩৭২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাদের মন্ডল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭ শত ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৮ শত ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোসা.বানেছা বেগম।
বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ঘোড়া প্রতীকে ৪৮ হাজার ২৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক সরকার আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৩ শত ১৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম শহিদ এবং কলস প্রতীকে কহিনুর বানু ৪২ হাজার ৬শত ৮০ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তিন উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ৯০৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ২৬৭টি। এর মধ্যে বাগমারা উপজেলায় ১২২টি, পুঠিয়ায় ৭৮ ও দুর্গাপুরে ৬৭টি ভোট কেন্দ্র। ২১ মে রাজশাহীর ওই তিন উপজেলায় সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিকে বৃষ্টির কারনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
Leave a Reply