ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক গুণাবলী আছে যার মধ্যে পরিশ্রমী গুনটা অন্যতম। তিনি যে কত পরিশ্রমী এটা নিজের চোখে না দেখলে বুঝা সম্ভব না। আমাদের সংসদ অধিবেশনে অনেক সাংসদ পরে আসলেও তিনি সবার আগে আসেন এবং সবার পরে তিনি সেখান থেকে বের হন। এটা থেকে অনেক কিছুর শিখার আছে কারণ তিনি যে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, তিনি যে গণতন্ত্রের বিকাশ করতে চান সেটা তথাকথিত বিরোধীদলের কারো মধ্যেই সে চর্চা নেই। তিনি সাংসদদের বক্তব্যে যেসব বিষয় দরকার হয় সেগুলোর নোট নেন এবং যেখানে যেটা দরকার সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দেন। আমি সত্যিকার অর্থে অবাক হয়ে যায় তাকে দেখে। তিনি সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সকল উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই করোনাকালীন সময়ে ২০৪৮ ডলার মাথা পিছু অর্জন ছাড়িয়ে গিয়েছে যা এই করোনাকালীন সময়েও থামাতে দেননি, এটা হচ্ছে তার অর্জন। এই ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের যে অবস্থা ছিল সেখান থেকে জিডিপিকে তিনি যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা দেখে সারা বিশ্বের মানুষ এখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের দেশ ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আমরা তার অনুসারী হিসেবে আরও একটা বিষয় তার মধ্যে খেয়াল করেছি যে, তিনি যে স্বপ্ন দেখেন তা তিনি বাস্তবে রূপ দেন। আমি আজকে শুধু পদ্মা সেতুর কথা বলে সীমিত থাকতে চাচ্ছি না, এটি তার উন্নয়নের একটি মাত্র উদাহরণ। আমার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মাঝখানে যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু রেল ব্রিজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছেন গত বছরের নভেম্বরের ২৯ তারিখে। আমাদের কাছে যেটি স্বপ্ন ছিল সেটির বাস্তবায়নের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগে যেমন মানুষজন বিশ্বাস করতেন রাজনীতিবিদরা যা বলেন তা করেন না, কিন্তু এখন মানুষের ধারণা পাল্টে গিয়েছে। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেন সেটা তিনি কাজে রূপান্তরিত করেন। এজন্যই তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এই করোনাকালীন সময়ে আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সেটা আর হয়নি।
You cannot copy content of this page